জি ২০- এর প্রস্তুতি বৈঠকে বলার সুযোগই পেলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

রাজ্যের নামের কারণে এবার সমস্যায় পড়তে হল মুখ্যমন্ত্রী(CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গোটা বিষয়টি উদ্দেশ্য প্রণোদিত নয় তো, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।

দিল্লিতে (Delhi)জি ২০ সম্মেলনের (G 20 Summit) প্রস্তুতি বৈঠকে ফের ব্রাত্য বাংলা (West Bengal)? কিছু বলার সুযোগই পেলেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। রাজ্যের নামের কারণে এবার সমস্যায় পড়তে হল মুখ্যমন্ত্রী(CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গোটা বিষয়টি উদ্দেশ্য প্রণোদিত নয় তো, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।

আগামী ১ বছরের জন্য জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতি ভারত। চলতি বছরের নভেম্বর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন বসেছিল ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। সম্মেলনে শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতিত্বের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় ভারতের হাতে। এই সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রে খবর। কিন্তু সেখানেও বঞ্চিত বাংলা। কথা বলতেই দেওয়া হল না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। সূত্রের খবর বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে জি ২০ সম্মেলনের প্রস্তুতি বৈঠকের শুরুতে ভাষণ দেন মোদি। এরপর একে একে বক্তব্য রাখলেন অসম.কেরল, মহারাষ্ট্র-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় স্তরে সব বৈঠকে নামের প্রথম অক্ষর অনুযায়ী বলার সুযোগ দেওয়া হয় রাজ্যগুলি। রাজ্যের নাম যেহেতু ‘A’ দিয়ে শুরু, সেই কারণে যেকোনও বৈঠকে শুরুতেই বলার সুযোগ পায় অসম, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলি। ইংরেজিতে ‘West Bengal’ অর্থাৎ এই রাজ্যের নামের আদ্য অক্ষত ‘W’ । ফলে নাম থাকে তালিকার একেবারে শেষের দিকে। এদিন সময় শেষ হয়ে যাওয়া জি-২০ সম্মেলনে প্রস্তুতি বৈঠকে আর বলতেই দেওয়া হল না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যখন প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সব মুখ্যমন্ত্রীদের কথা শুনবেন বলে ডেকেছেন তখন প্রতি রাজ্যের জন্যই নির্ধারিত সময় রাখা উচিত ছিল। সেই নিয়ম মেনে কেন প্রত্যেকের জন্য নির্দিষ্ট সময় ধার্য করে তা ভাগ করে দেওয়া হলো না যাতে সবাই কথা বলার সুযোগ পান ? তাহলে কি গোটা ঘটনায় বিজেপির পূর্ব রচিত? সন্দিহান রাজনৈতিক মহলের একাংশ ।

 

Previous articleরাজ্যে কমবে শীতের দাপট, মান্দাসের প্রভাব নেই রাজ্যে
Next articleপাকিস্তানের কাছে পাঞ্জাবের সরহলি পুলিশ স্টেশনে রকেট হামলা