Thursday, November 13, 2025

হিন্দমোটরের হিন্দুস্থান মোটর কারখানা ফেলে রাখা জমি অধিগ্রহণ শেষমুহূর্তে বাতিল প্রশাসনের

Date:

Share post:

ফেলে রাখা জমি অধিগ্রহণের কর্মসূচি শেষমুহূর্তে বাতিল করল জেলা প্রশাসন। আট বছর ধরে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কস হিন্দমোটরের হিন্দুস্থান মোটর কারখানা। সেই কারখানার অব্যবহৃত ৩৯৫ একর জমি অধিগ্রহণ করছে রাজ্যের ভূমি দফতর। সেই মতো বুধবার, সেই জমির অধিগ্রহণ (ফিজিক্যালি পজিশন) নির্ণয়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল হুগলি (Hoogli) জেলা প্রশাসন। অবশেষে সেই কর্মসূচি বাতিল হয়।

জেলাশাসক ও ভূমি দফতরের আধিকারিকরা যাবেন হিন্দমোটরে তর জেরে প্রস্তুত ছিল পুলিশও (Police)। হঠাৎই জেলা প্রশাসন এই কর্মসূচি বাতিল করে। জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া জানান, স্থানীয় কিছু সমস্যার জন্য তাই আজকে ফিজিক্যালি পজিশন নেওয়া বাতিল করা হয়েছে। পরে আলোচনা করে দিন ঠিক করা হবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জমি চিহ্নিত করা হয়ে গিয়েছে। সেই জমিতে সরকারি বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হবে। প্রায় সাতশো একরের বেশি জমি রয়েছে হিন্দুস্থান মোটরের। তার মধ্যে তিনশো একর বেঙ্গল শ্রীরামকে দেওয়া হয়েছে আবাসন শিল্পের জন্য। কিছু জমিতে টিটগড় ওয়াগন যেটা রেলের কোচ তৈরি হয় তাদের কারখানা রয়েছে। সেই টিটাগড় ওয়াগান কারখানাতেই গত জুলাই মাসে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন শিল্পের কথা।

১৯৪৮ সালে উত্তরপাড়ায় হিন্দুস্থান মোটরের অ্যাম্বাসাডার কারখানা পথচলা শুরু করে। ২০১৪ সালে সাসপেনশান অফ ওয়ার্কের নোটিশ (Notice) ঝোলে। কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সেসময় প্রায় ২৩০০ শ্রমিক ছিলেন কারখানায় (Factory)। অনেক আন্দোলন শ্রমিক প্রতিবাদেও কারখানার গেট খোলেনি। হিন্দুস্থান মোটরের অব্যাহত জমিতে জঙ্গলে ভরে যায়। অবশেষে সরকার সেই জমি অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রায় দু মাস শুনানির পর অবশেষে জমি অধিগ্রহণ সম্পূর্ণ হয়। এদিন সকাল থেকে পুলিশ মোতায়েন হতে দেখে শ্রমিক মহল্লায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। কারখানার জমিতে কারখানার দাবি স্থানীয়দের।

রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী (Snehashis Chakraborti) বলেন, বিধান রায়ের আমলে হিন্দমোটের জমি কারখানার জন্য লিজে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে সেই কারখানা ধ্বংসস্তূপে পরে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী চান, যে সব কারখানার জমি পড়ে রয়েছে, সেই জমি নিয়ে শিল্পের কাজে লাগানো হোক। সেই ভাবেই হিন্দুস্থান মোটরের ৩৯৫ একর জমি সরকার নিয়ে সেখানে শিল্প তৈরি করবে। তার কাজ এগিয়ে গিয়েছে। যারা শিল্প করবে তাদের দেওয়া হবে। শিল্প করতে হবে। শিল্প হলে রাজ্যের উন্নতি হবে, GSDP বাড়বে। শিল্পের জন্য জমি নিয়ে ফেলা রাখা যাবে না। শিল্পই করতে হবে, সেই কাজটাই মুখ্যমন্ত্রী করছেন।

 

spot_img

Related articles

আধার কার্ডকে শিখণ্ডী করে নাম বাদের ফন্দি! আইনি লড়াই – গণআন্দোলনের হুঁশিয়ারি তৃণমূলের 

বিস্ফোরক তথ্য। আধার-কার্ডকে শিখণ্ডী করে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদের ফন্দি চলছে। নেপথ্যে রয়েছে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। যারা...

KIFF: সমাপ্তির বিষাদ ভুলে চলচ্চিত্র উৎসব প্রাঙ্গণে সিনে দশমীর বর্ণময় অনুষ্ঠানের জৌলুস 

শহরে এসেছিল দেশ বিদেশের ছবি। এক সপ্তাহ ধরে জমল সিনে আড্ডা। নানা ভাষার সিনেমা দেখে উচ্ছ্বসিত সাধারণ দর্শক...

লাদাখে চালু হল বিশ্বের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি

১৩,৭০০ ফুট উচ্চতা নিয়ে বিশ্বের সেরা সামরিক বিমানঘাঁটি তৈরী হল এবার লাদাখে। লাদাখের চাংথাং নিওমা বিমানঘাঁটি বুধবার বায়ুসেনা...

আগামী বছর আরও বড় কিছু করব-Big Jump: “জনগণের উৎসব Kiff”-র সমাপ্তিতে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর 

“আমরা আগামী বছর আরও বড় কিছু করব…Big Jump“-৩১ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে আচমকা হাজির হয়ে...