Thursday, December 18, 2025

হিন্দমোটরের হিন্দুস্থান মোটর কারখানা ফেলে রাখা জমি অধিগ্রহণ শেষমুহূর্তে বাতিল প্রশাসনের

Date:

Share post:

ফেলে রাখা জমি অধিগ্রহণের কর্মসূচি শেষমুহূর্তে বাতিল করল জেলা প্রশাসন। আট বছর ধরে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কস হিন্দমোটরের হিন্দুস্থান মোটর কারখানা। সেই কারখানার অব্যবহৃত ৩৯৫ একর জমি অধিগ্রহণ করছে রাজ্যের ভূমি দফতর। সেই মতো বুধবার, সেই জমির অধিগ্রহণ (ফিজিক্যালি পজিশন) নির্ণয়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল হুগলি (Hoogli) জেলা প্রশাসন। অবশেষে সেই কর্মসূচি বাতিল হয়।

জেলাশাসক ও ভূমি দফতরের আধিকারিকরা যাবেন হিন্দমোটরে তর জেরে প্রস্তুত ছিল পুলিশও (Police)। হঠাৎই জেলা প্রশাসন এই কর্মসূচি বাতিল করে। জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া জানান, স্থানীয় কিছু সমস্যার জন্য তাই আজকে ফিজিক্যালি পজিশন নেওয়া বাতিল করা হয়েছে। পরে আলোচনা করে দিন ঠিক করা হবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জমি চিহ্নিত করা হয়ে গিয়েছে। সেই জমিতে সরকারি বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হবে। প্রায় সাতশো একরের বেশি জমি রয়েছে হিন্দুস্থান মোটরের। তার মধ্যে তিনশো একর বেঙ্গল শ্রীরামকে দেওয়া হয়েছে আবাসন শিল্পের জন্য। কিছু জমিতে টিটগড় ওয়াগন যেটা রেলের কোচ তৈরি হয় তাদের কারখানা রয়েছে। সেই টিটাগড় ওয়াগান কারখানাতেই গত জুলাই মাসে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন শিল্পের কথা।

১৯৪৮ সালে উত্তরপাড়ায় হিন্দুস্থান মোটরের অ্যাম্বাসাডার কারখানা পথচলা শুরু করে। ২০১৪ সালে সাসপেনশান অফ ওয়ার্কের নোটিশ (Notice) ঝোলে। কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সেসময় প্রায় ২৩০০ শ্রমিক ছিলেন কারখানায় (Factory)। অনেক আন্দোলন শ্রমিক প্রতিবাদেও কারখানার গেট খোলেনি। হিন্দুস্থান মোটরের অব্যাহত জমিতে জঙ্গলে ভরে যায়। অবশেষে সরকার সেই জমি অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রায় দু মাস শুনানির পর অবশেষে জমি অধিগ্রহণ সম্পূর্ণ হয়। এদিন সকাল থেকে পুলিশ মোতায়েন হতে দেখে শ্রমিক মহল্লায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। কারখানার জমিতে কারখানার দাবি স্থানীয়দের।

রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী (Snehashis Chakraborti) বলেন, বিধান রায়ের আমলে হিন্দমোটের জমি কারখানার জন্য লিজে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে সেই কারখানা ধ্বংসস্তূপে পরে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী চান, যে সব কারখানার জমি পড়ে রয়েছে, সেই জমি নিয়ে শিল্পের কাজে লাগানো হোক। সেই ভাবেই হিন্দুস্থান মোটরের ৩৯৫ একর জমি সরকার নিয়ে সেখানে শিল্প তৈরি করবে। তার কাজ এগিয়ে গিয়েছে। যারা শিল্প করবে তাদের দেওয়া হবে। শিল্প করতে হবে। শিল্প হলে রাজ্যের উন্নতি হবে, GSDP বাড়বে। শিল্পের জন্য জমি নিয়ে ফেলা রাখা যাবে না। শিল্পই করতে হবে, সেই কাজটাই মুখ্যমন্ত্রী করছেন।

 

spot_img

Related articles

বাজেয়াপ্ত যুবভারতীর সিসিটিভি ফুটেজ, নজরে শতদ্রু ঘনিষ্ঠরা

যুবভারতীতে মেসি(Messi) ইভেন্ট চরম বিশৃঙ্খলায় তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য সরকার গঠিত সিট(SIT)। যুবভারতীর (Yubha bharati) যাবতীয় সিসিটিভি ফুটেজ...

সিইও দফতরের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী, শুক্রবার থেকেই মোতায়েন

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর নিরাপত্তায় এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী (central security force) মোতায়েন করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে...

২৯ ডিসেম্বরেই দুর্গাঙ্গনের শিলান্যাস, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

২৯ ডিসেম্বর শিলান্যাস হবে দুর্গাঙ্গনের (Durgangan)। বৃহস্পতিবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে শিল্প কনক্লেভে মঞ্চ থেকেই শিলান্যাস অনুষ্ঠানের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী...

মেদিনীপুর-বর্ধমান ম্যাচ ড্র, জয়ের ধারা বজায় রাখাই লক্ষ্য হাওড়া-হুগলির

বেঙ্গল সুপার লিগের(Bengal Super League) ম্যাচে বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হয়েছিল এফসি মেদিনীপুর এবং বর্ধমান ব্লাস্টার্স। দুই দলই জয়েই ফিরতে...