বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্তিনা। মঙ্গলবার রাতে সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে হারাল ৩-০ গোলে। আর্জেন্তাইনদের হয়ে জোড়া গোল জুলিয়ান আলবারেসের। একটি গোল লিওনেল মেসির।২০১৪ পর আবারও বিশ্বকাপের ফাইনালে মেসির দল।

ম্যাচে এদিন প্রথম থেকেই আক্রমণে ঝাঁপায় আর্জেন্তিনা। তবে পাল্টা আক্রমণ করতে ভোলেনি ক্রোয়েশিয়া। তবে এরই মাঝে ম্যাচের ৩৪ মিনিটে পেনাল্টি পায় নীল-সাদার দল। বক্সের মধ্যে আলবারেসকে ফাউল করেন লিভাকোভিচ। পেনাল্টি দেন রেফারি। আর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে এতটুকু ভুল করেননি মেসি।গোলরক্ষকের বাঁ দিক দিয়ে জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। আর্জেন্তিনাকে ১-০ এগিয়ে দেন লিও। এই গোল করার সঙ্গে সঙ্গেই নজির গড়েন মসি। বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনার হয়ে ১১ গোল করলেন লিও। টপকে গেলেন গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুকে। শীর্ষে মেসি। দ্বিতীয় স্থানে ১০ গোল নিয়ে বাতিস্ততা। তৃতীয়তে ৮ গোল নিয়ে কিংবদন্তি মারাদোনা। মেসি এদিন গোল করায় চলতি বিশ্বকাপে নিজের পঞ্চম গোলও করে ফেললেন তিনি। এরপর ম্যাচের ৩৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পায় স্কালোনির দল। আর্জেন্তিনার হয়ে ২-০ করেন জুলিয়ান আলবারেস। এরপর আক্রমণে গেলেও প্রথমার্ধে গোলের ব্যবধান বাড়াতে নীল-সাদার দল। যার ফলে ম্যাচের প্রথমার্ধে ফলাফল থাকে ২-০।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ অনেক বেশি ক্রোয়েশিয়ার। আক্রমণে লোক বাড়ায় কোচ দালিচ। কিন্তু নিজেদের রক্ষণ মজবুত রাখে আর্জেন্তিনা। ফলে গোলের মুখ খুলতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। রক্ষণাত্মক খেললেও হঠাৎই প্রতি আক্রমণ থেকে উঠে আসে নীল-সাদার দল। যার ফলে ম্যাচের ৬৯ মিনিটে তৃতীয় গোল পায় আর্জেন্তিনা। দলের হয় তৃতীয় এবং নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন আলবারেস। ডান প্রান্তে সাইড লাইনের কাছে বল ধরে ডিফেন্ডারকে ঘাড়ের কাছে নিয়ে এগিয়ে যান মেসি। পায়ের কাজ দেখাতে দেখাতে বক্সে ঢোকেন লিও। তারপরে বল রাখেন আলবারেসের কাছে। ডান পায়ে গোল করেন তিনি। এরপর আক্রমণে গেলেও গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি আর্জেন্তিনা।
