তাওয়াং ইস্যুতে (Tawang Issue) শুক্রবারও ব্যহত সংসদের (Parliament) শীতকালীন অধিবেশন (Winter Session)। এদিন সকাল থেকেই বিরোধীদের বিক্ষোভ প্রতিবাদের জেরে রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিবাদের জেরে এদিন তৃণমূল কংগ্রেস (TMC), কংগ্রেস (Congress) সহ একাধিক বিরোধী দল হাউসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়ে পরিস্থিতি। এদিন সকাল ১১টার পর অধিবেশন শুরু হলেই বাধে বিপত্তি। এরপরই রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান ২৫ মিনিটের জন্য অধিবেশন মুলতুবির সিদ্ধান্ত নেন।

অরুণাচলের তাওয়াং সীমান্ত ইস্যুতে লাগাতার লোকসভা ও রাজ্যসভায় সরব হন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Saugata Roy), কংগ্রেসের দুই বর্ষীয়ান সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং মনীশ তিওয়ারি। সৌগত রায় চিনা সেনার আগ্রাসন ইস্যুতে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার (Om Birla) দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ভারতীয় সীমান্তে চিনা আগ্রাসন একটি জাতীয় উদ্বেগের বিষয়। কেন্দ্রীয় সরকারের মতো বিরোধীরাও এই ইস্যুতে সমান উদ্বিগ্ন। আমরা এই নিয়ে বারবার আলোচনার দাবি জানাচ্ছি, কিন্ত সরকার একপেশে মনোভাব দেখিয়ে তা এড়িয়ে যাচ্ছে৷ অবিলম্বে সংসদে এই মর্মে সবিস্তারে আলোচনা করা হোক। এরপরেই ১৯৬২-এর ইন্দো-চিন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে ধরার চেষ্টা করে তৃণমূল কংগ্রেস।

লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নেহেরু জমানার উদাহরণ টেনে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের দাবি, যদি পূর্বতন সরকার চিনা আগ্রাসন নিয়ে সংসদে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা করতে পারে, তাহলে বর্তমান সরকারের সমস্যা কোথায়? অরুণাচলের চিনা আগ্রাসন জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়, দেশবাসীর পুরো অধিকার আছে তা জানার। এই কারণেই সংসদে চিনা আগ্রাসন ইস্যুতে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা করতে হবে সরকারকে। এছাড়া চলতি সপ্তাহে সংসদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে একটি ধর্না সমাবেশের আয়োজনও করতে পারে তৃণমূল সহ বিরোধী শিবির।
