আসানসোল পদপিষ্ট কাণ্ড! মৃ*তদের পরিবারের পাশে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল      

তবে শুধু মৃতদের পরিবারের সঙ্গেই নয়, এদিন আহতদের সঙ্গেও দেখা করার কথাও রয়েছে। এদিন সকালে আসানসোলের দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তারপরই মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikari) কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট (Stampede) হয়ে ৩ জনের মৃত্যুর পর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশ মতো রবিবার সকালে আসানসোলে (Asansol) পৌঁছল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল (TMC Delegates Team)। ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo), শশী পাঁজা (Sashi Panja), মলয় ঘটক (Malay Ghatak), পার্থ ভৌমিক (Partha Bhoumik)। এছাড়াও রয়েছেন যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh) ও বিধায়ক বিবেক গুপ্ত (Vivek Gupta)। এদিন সকালে আসানসোলের কালনা এলাকায় গিয়ে প্রথমে মৃত ঝালি দেবী বাউড়ির পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। মৃতের ছবিতে মালা দেওয়ার পাশাপাশি পরিবারের অভিযোগের কথাও শোনেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এরপর রামকৃষ্ণ ডাঙালের বাসিন্দা চাঁদমণি দেবী ও প্রীতি সিংয়ের বাড়িতে যান তাঁরা।

তবে শুধু মৃতদের পরিবারের সঙ্গেই নয়, এদিন আহতদের (Injured) সঙ্গেও দেখা করেন বাবুল সুপ্রিয়, শশী পাঁজা, মলয় ঘটকরা। উল্লেখ্য, রবিবার সকালেই আসানসোলের দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তারপরই মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতেই ঘটনায় মৃত কাল্লা ও রামকৃষ্ণ ডাঙালের বাসিন্দা চাঁদমনি দেবী, ঝালি দেবী বাউরি ও প্রীতি সিংয়ের বাড়ি যান রাজ্যের শ্রম ও আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক (Malay Ghatak)। সঙ্গে ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের কাউন্সিলর উৎপল সিনহা সহ অন্যান্যরা। মন্ত্রী তিনজনের মৃত্যুতে পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি দল ও সরকার তাদের পাশে আছে বলে জানান।

অন্যদিকে, এই ঘটনায় ধিক্কার জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে গত দু’দিন ধরে আসানসোলের বিভিন্ন জায়গায় মোমবাতি মিছিল করা হয়েছে। গত বুধবার আসানসোলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভায় দুঃস্থদের কম্বল বিলির কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। শুভেন্দু সভাস্থল ছাড়তেই কম্বল বিলি কর্মসূচি শুরু হয়। তবে প্রবল ভিড়ে কম্বল নিতে এসে রীতিমতো হুলস্থূল-কাণ্ড বেঁধে যায়। হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। আরও ৮ জন আহত হয়েছেন। আসানসোলের এই ঘটনায় বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল। নবান্নের নির্দেশে পুলিশও এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু করছে।

পুলিশের দাবি, বিজেপির সভায় কম্বল বিলি কর্মসূচির ব্যাপারে আগেভাগে কিছু জানানো হয়নি। সেই কারণেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকার কারণেই মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই আসানোসের ঘটনায় তদন্তে নেমে বিজেপির সেদিনের অনুষ্ঠানের ৬ উদ্যোক্তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর পর্যন্ত দায়ের হয়েছে। এই আবহেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রবিবার আসানসোল গেলেন তৃণমূলের ৬ প্রতিনিধি।

 

 

Previous articleবাংলার নাবালিকাকে বিহারে বিক্রি ! কাঠগড়ায় উত্তরপ্রদেশের যুবক
Next articleবিশ্বকাপের ফাইনালের উন্মাদনা, শ্রীরামপুরে মেসির নামে যজ্ঞ