Nandigram: সমবায় ভোটে ‘বহিরাগত’! তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে

শুক্রবার দফায় দফায় দু’পক্ষের মারামারিতে একাধিক ব্যক্তির আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, তাঁদের ৩ কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে নন্দীগ্রাম থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে লাঠিচার্জ করে।

সমবায় সমিতির নির্বাচনকে (Co Operative Election) কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল নন্দীগ্রাম (Nandigram)। তৃণমূল-বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের খোদামবাড়ি এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী। শুক্রবার সকাল থেকেই নন্দীগ্রাম- ২ ব্লকের ভেটুরিয়া সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে ভোটপ্রক্রিয়া প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।


শুক্রবার দফায় দফায় দু’পক্ষের মারামারিতে একাধিক ব্যক্তির আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, তাঁদের ৩ কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে নন্দীগ্রাম থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে লাঠিচার্জ করে। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভেটুরিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে ঘিরে উত্তেজনা পুরোপুরি থামেনি। সূএের খবর, শুক্রবার নন্দীগ্রামে ভেটুরিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন পরিচালন সমিতির নির্বাচন ছিল। সমবায় সমিতিতে মোট ১২ টি আসন রয়েছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি ১২ টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। কিন্তু পরে বিজেপির এক সংখ্যালঘু মহিলা প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় তৃণমূল একটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করে। বাকি ১১টি আসনে ভোট গ্রহণ চলছে। এই নির্বাচনে বামেরা ৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের অভিযোগ, বিজেপি একটা সময় মানুষকে ভুল বুঝিয়ে কিছু ভোট পেয়েছিল। কিন্তু মানুষ বুঝতে পারছেন আসল ঘটনা কী আর সেকারণেই তাঁরা ক্রমশ বিজেপির পাশ থেকে সরে যাচ্ছেন। সমবায় সমিতির ভোটে এমনিতে বিজেপি-সিপিএম হাত মিলিয়ে আছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ওরা বাইরে থেকে এলাকায় ছেলে এনে এলাকায় অশান্তি, ভোটারদের প্রভাবিত এবং মারধর করে। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব বারবার পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছে। এরপরই কুণালের অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারীর পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। সেই কারণেই বাইরের লোক আনা হচ্ছে।

স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি প্রভাকর বেরার অভিযোগ, বিজেপি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে। বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে হামলা চালাচ্ছে। ভোটে হারার ভয়ে এমন কাজকর্ম চালাচ্ছে বিজেপি। আগামী দিনে মানুষ এসবকিছুর যোগ্য জবাব দেবে। তবে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ আধিকারিক বলেন পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

 

Previous articleচিনে কোভিড পরিস্থিতি বেসামাল!রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী
Next articleনজরে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন, রাজ্য কমিটি গঠন তৃণমূলের, বড় দায়িত্বে রাজীব