ঋণ জালিয়াতি-কাণ্ড: সোমবার পর্যন্ত CBI হেফাজতে ICICI ব্যাঙ্কের প্রাক্তন CEO ও তাঁর স্বামী

শুক্রবার তাঁরা আদালতে এলে তদন্তে অসহযোগিতার কারণে, দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সিবিআই হেফাজতে (CBI Custody) আইসিআইসিআই (ICICI) ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইও ছন্দা কোচার (Chanda Kocchar) এবং স্বামী দীপক কোচার (Deepak Kocchar)। আগামী ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁদের থাকতে হবে সিবিআই হেফাজতেই (CBI Custody)। শনিবার এমনই রায় দিয়েছে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। শুক্রবার রাতেই ছন্দা কোচার এবং তাঁর স্বামী দীপক কোচারকে গ্রেফতার (Arrrest) করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

শনিবার আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, তাঁদের কাছে নথিভুক্ত প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে চার এবং পাঁচ নম্বর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ছন্দা ২০০৯ সালে আইসিআইসিআই ব্যাংকের  এমডি এবং সিইও পদে ছিলেন এবং পঞ্চম জন তাঁর স্বামী দীপক কোচার। আমরা এই মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা অনুযায়ী একটি আবেদন দাখিল করছি। ইতিমধ্যেই দণ্ডবিধির ৪১ ধারার অধীনে উভয় অভিযুক্তকে নোটিশ দিয়েছিলাম, কিন্তু যেহেতু তারা সহযোগিতা করেনি তাই আমরা তাদের গ্রেফতার করেছি। দম্পতিকে ১৫ ডিসেম্বর হাজির হওয়ার জন্য একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা আদালতকে জানান, চার দিন পর অর্থাৎ ১৯ ডিসেম্বর তাঁরা আদালতে হাজিরা দেবেন। কিন্তু তাঁরা আসেননি। এরপর শুক্রবার তাঁরা আদালতে এলে তদন্তে অসহযোগিতার কারণে, দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার প্রাথমিক প্রমাণ এবং নথিগুলির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উভয় অভিযুক্তকে তিন দিনের সিবিআই হেফাজতে দেওয়া হোক। এরপরই বিশেষ আদালতের বিচারক সিবিআই-এর আবেদন মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবারই সিবিআই তাঁদের গ্রেফতার করে। অবৈধভাবে বেসরকারি ব্যাঙ্কের মাথায় থাকাকালীন ভিডিওকন গ্রুপকে ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ সামনে আসে। ২০১৮ সালে ভিডিওকন গ্রুপকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব করেন ছন্দা কোচার। তারপরই সেই বছরেই অক্টোবর মাস নাগাদ আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের সিইও ও ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদ ছাড়েন তিনি। সংশ্লিষ্ট বেসরকারি ব্যাঙ্কের তরফে এক বছর পর বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ব্যাঙ্কের আচরণবিধি এবং অভ্যন্তরীণ নীতি ভেঙেছেন ছন্দা কোচার। ২০১২ সালে ভিডিওকন গ্রুপকে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে ছন্দার বিরুদ্ধে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার অভিযোগ আনে। তবে শুধু ছন্দাই নন তাঁর স্বামী এবং পরিবারের সদস্যরাও এর জেরে লাভবান হয়েছেন বলে অভিযোগ।

অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর আইসিআইসিআই ব্যাংকের তরফেই ছন্দার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আইসিআইসিআই কর্তৃপক্ষ জানায়, ছন্দা সংস্থার আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন। সংস্থার স্বার্থরক্ষার যে সমস্ত নিয়ম নীতি রয়েছে, তাও লঙ্ঘন করেছেন। গতবছর ছন্দাকে বরখাস্ত করে সংস্থা। এবার সিবিআই তাঁকেও গ্রেফতার করল।

 

 

Previous articleআবাস যোজনার তালিকা নিয়ে অস্বস্তি, মালিহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ ১৭ সদস্যের গণইস্তফা
Next articleফের বিশ্বকাপ ফাইনাল করার দাবি, এই দাবিতে একটি পিটিশনে সই দুই লক্ষ ফরাসি সমর্থকের