চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং এবং থাইল্যান্ড থেকে আসা আন্তর্জাতিক যাত্রীদের কোভিড সনাক্তকরণের জন্য RTPCR পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। শনিবার একথা জানালেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য (Mansukh Mandvya)।তিনি জানান, এই দেশগুলি থেকে আসা যেকোনও যাত্রীর শরীরে কোভিডের (Covid) কোনও লক্ষণ পাওয়া গেলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে আলাদা করা হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই দেশগুলি থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা ঘোষণার জন্য ‘এয়ার সুবিধা’ ফর্ম পূরণ করা বাধ্যতামূলক করা হবে। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত অক্সিজেনের (Oxygen) জোগান নিশ্চিত করতে সব রাজ্যকে ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ইতিমধ্যে র্যান্ডম টেস্টিংয়ের ব্যবস্থা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিতে (International Airport)।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে ভারতে দ্বিতীয় ওয়েভের প্রথম দিনগুলিতে অক্সিজেনের ঘাটতি প্রাথমিকভাবে একটি বড় সমস্যা ছিল। শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব মনোহর আগ্নানি রাজ্যগুলিকে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কম, তবে আগামীদিনে যে কোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য চিকিৎসা পরিকাঠামোর কার্যকারিতা এবং রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি অক্সিজেন ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বশেষ ৬ দফা পরামর্শে বলা হয়েছে, অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলিকে সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী রাখতে হবে এবং তাদের পরীক্ষা করার জন্য নিয়মিত মক ড্রিল করতে হবে।চিন এবং অন্যান্য দেশগুলিতে কোভিডের বাড়বাড়ন্তের পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার আত্মতুষ্টির বিরুদ্ধে সতর্ক করেন। পাশাপাশি তিনি আরও নির্দেশ দেন, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে কোভিড প্রোটকল আরও জোরদার করার।


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ইতিমধ্যেই অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রককে বলেছে যে শনিবার থেকে প্রতিটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে ভারতে আগত যাত্রীদের ২ শতাংশের বিমানবন্দরে আগমন-পরবর্তী কোভিড পরীক্ষা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে যাতে দেশে করোনভাইরাসটির কোনও নতুন রূপের প্রবেশের ঝুঁকি কমানো যায়। শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, ভারতে পুনরুদ্ধারের হার বর্তমানে ৯৮.৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

গত ২৪ ঘন্টায় ১৮৩ জন সুস্থ হয়েছেন। দৈনিক পজিটিভিটির হার ছিল ০.১৫ শতাংশ, যেখানে সাপ্তাহিক পজিটিভিটির হার ছিল ০.১৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ লক্ষ ৫ হাজার ৪৪টি কোভিড ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে। কোভিড ভ্যাকসিনেশনের ক্ষেত্রে সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে টিকাকরণ অভিযানের অধীনে এখনও পর্যন্ত ২২০ কোটিরও বেশি ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া হয়েছে।

