ডোপিং বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দু’বছরের জন্য নির্বাসিত হলেন দীপা কর্মকার। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোন প্রতিক্রিয়া দেননি দীপা। দীপাকে নির্বাসিত করলেও এব্যাপারে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশন। শুধু জানানো হয়েছে ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে দু’বছরের জন্য নির্বাসিত দীপা।

২০২২ সালের শুরুর দিকেই শোনা যায় নির্বাসিত করা হয়েছে দীপাকে। তবে ঠিক কী কারণে তাঁকে নির্বাসিত করা হয়, তা নিয়ে অন্ধকারে ছিলেন দীপা এবং তাঁর কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী। তারপর থেকে উধাও ছিলন দীপা। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী দীপার বিরুদ্ধে ডোপিং বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে নির্বাসনের শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে। যদিও দীপার শাস্তি নিয়ে মুখ খোলেনি ভারতীয় জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশনও। কোন মন্তব্য করা হয়নি ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা নাডার পক্ষ থেকেও। জানা যাচ্ছে দীপার শাস্তির দায় নিতে রাজি নয় সাইও। বরং তাঁরা এই ঘটনার জন্য দীপার কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী এবং ত্রিপুরা সরকারের ক্রীড়া দফতরের দায়িত্বজ্ঞান হীনতাকেই দায়ী করছে। কারণ, দীপার সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন তাঁর কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী।

২০২২ সালের প্রথমদিকে দীপার নিষেধাজ্ঞার খবর ছড়িয়ে পড়ে।ডোপ পরীক্ষার জন্য ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির তরফে ডাকা হয়েছিল দীপাকে। জানা যায় তিনি নাকি সেই ডাক উপেক্ষা করেন! একাধিক বার ওয়াডার নির্দেশ উপেক্ষা করার অভিযোগ রয়েছে দীপার বিরুদ্ধে।যে কারণে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়েছে দীপাকে।
