বড়দিনের সন্ধ্যায় জনজোয়ার পার্ক স্ট্রিট সহ শহরের অন্যত্র

বড়দিনের সন্ধ্যায় জনজোয়ার পার্ক স্ট্রিটে । রাত যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে পার্ক স্ট্রিটের রাস্তায় মানুষের ঢল ।

অন্য বছরের থেকে এবারের বড়দিনটা একটু আলাদা ৷ কোভিডের চোখরাঙানি পিছনে ফেলে ক্রিসমাস পালন । যার নিট ফল, বড়দিনের সন্ধ্যায় জনজোয়ার পার্ক স্ট্রিটে । রাত যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে পার্ক স্ট্রিটের রাস্তায় মানুষের ঢল ।

ঠান্ডা তেমন না থাকায় দিনভর ঘামতে ঘামতে চিড়িয়াখানা, জাদুঘর ও মিলেনিয়াম পার্কে ঘুরে বেড়ানো উৎসাহী জনতার ভিড় পার্ক স্ট্রিটে আছড়ে পড়েছে রবিবার সন্ধ্যায়।
এর মধ্যেই আশঙ্কা বাড়িয়েছে উৎসবমুখী জনতার বেপরোয়া মনোভাব। গত দু’বছরে করোনার কিছু বিধিনিষেধ থাকলেও এ বছর তা নেই। প্রশাসনের তরফেও নতুন কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। ফলে পথে নামা প্রায় কারও মুখেই মাস্কের বালাই নেই। দূরত্ব-বিধি মানা বা সাফসুতরো হয়ে খাওয়ার চেষ্টাও চোখে পড়েনি। বরং করোনা যে আবার চোখ রাঙাচ্ছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন করায় মিলেছে নানা বেপরোয়া উত্তর। অধিকাংশের উত্তর, করোনা নিয়ে ভাবতে হলে যিশুর জন্মদিনের পরে দেখা যাবে।
জওহরলাল নেহরু রোড থেকে পার্ক স্ট্রিটের ফুটপাত আলো দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। মাথার উপরে লাগানো হয়েছে আলোর চেন। পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুল জুড়েও আলোর সাজ। অ্যালেন পার্কের কাছে বসানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। উল্টো দিকের ফুটপাতেই তৈরি করা হয়েছে নানা খাবারের স্টল। যার জেরে মানুষের হাঁটার উপায় নেই। লম্বা লাইন পার্ক স্ট্রিটের একের পর এক রেস্তরাঁর সামনে। রাস্তার ফুটপাত সংলগ্ন অংশ দিয়ে পথচারীদের যাতায়াতের জায়গা করে দিতে রাখা হয়েছে প্রচুর গার্ডরেল। কিন্তু তাতেও ভিড়ের চাপে হাঁসফাঁস অবস্থা।
একই চিত্র বিধাননগর কমিশনারেট এলাকার ইকো পার্ক, নিক্কো পার্ক কিংবা সিটি সেন্টারের মতো এলাকায়। ভিআইপি রোডের ধারে দক্ষিণদাঁড়িতে চলা কার্নিভালেও প্রচুর মানুষের ভিড়। কার্নিভালের কারণে যে হেতু সার্ভিস রোড বন্ধ আছে, তাই যানজট আটকাতে ভিআইপি রোডের উপরে দুর্গাপুজোর সময়ের মতো একটি আলাদা লেন গাড়ি চলাচলের জন্য করা হয়েছে।
ভিড়ের মধ্যে সাদা পোশাকে ঘুরছেন মহিলা ও পুরুষ পুলিশকর্মীরা। যৌন হেনস্থা এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে ঘটা অপরাধ আটকাতেই এই পদক্ষেপ বলে পুলিশের দাবি।

নিক্কো পার্ক যে হেতু বেসরকারি সংস্থার জায়গা, তাই সেখানকার কর্তৃপক্ষকে যথেষ্ট সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন রাখতে হয়েছে পুলিশের নির্দেশ মেনে । সেই সঙ্গে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশকর্মীরাও বাইরে এবং ভিতরে পাহারায় আছেন।

Previous articleরাজ্যে প্রথম ব্রুসেলোসিস আক্রান্তের মৃ*ত্যু নিয়ে বাড়ছে জল্পনা
Next articleআবাস যোজনার দুর্নীতি বরদাস্ত করবে না রাজ্য: কড়া বার্তা ফিরহাদের