বড়দিন উপলক্ষ্যে মধ্যরাতের প্রার্থনায় চার্চে মুখ্যমন্ত্রী, সঙ্গে সকন্যা অভিষেক

ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। এই বার্তা নিয়েই রাজ্যে সব উৎসবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই মতো এবারও ক্রিস্টমাসের আগে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ পর্তুগিজ চার্চ ব্রেবোর্ন রোডের ধারে ক্যাথিড্রাল অব মোস্ট হোলি রসারি পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও তাঁর কন্যা আজানিয়া। শতাব্দী প্রাচীন এই গির্জায় ফিতে কেটে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। গির্জার ভিতরে ক্যারলে অংশ নেন তাঁরা। ‘বিশ্বপিতা তুমি হে প্রভু’ গানে হয় প্রার্থনা। বড়দিন উপলক্ষ্যে আলোকোজ্জ্বল এই গির্জা। বড়দিনের বিশেষ ক্যারল অংশ গ্রহণ করেন মমতা, অভিষেক ও তাঁর কন্যা।

ক্যারালে পর সকলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী। গির্জার তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দেওয়া হয়। মমতা, অভিষেক ও আজানিয়াকে আশীর্বাদ করেন বিশপ। রাত প্রায় ১১টা নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী।

২০১১ সালে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সব ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমান গুরুত্ব দিয়ে রাজ্যে পালন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবছরই ২৪ ডিসেম্বর রাতে তিনি গির্জায় ক্রিসমাসের বিশেষ প্রার্থনায় যোগ দেন মমতা।

দুর্গাপুজো-কালীপুজো-জগদ্ধাত্রীপুজোর উদ্বোধনের পাশাপাশি তিনি রেড রোডে (Red Road) ঈদের নমাজেও অংশগ্রহণ করেন মমতা। প্রতিবছর বড়দিনের ক্যারলে যোগ দেন। বাংলায় সাম্প্রতিক সম্প্রীতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামে বিরাট জয়ের পর মিছিল তৃণমূলের, সাতাশে ‘ধন্যবাদ সভা’

 

Previous articleনন্দীগ্রামে বিরাট জয়ের পর মিছিল তৃণমূলের, সাতাশে ‘ধন্যবাদ সভা’
Next articleকোভিড বিধি মেনেই গঙ্গাসাগর মেলা, থাকছে না কড়াকড়ি