বুধে গঙ্গাসাগর যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, আজ দিনভর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন সুজিত

গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বুধবার যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর সফরের আগের দিন মঙ্গলবার দিনভর গঙ্গাসাগরের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu)। এদিন বেলা দশটা নাগাদ কাকদ্বীপের (Kakdwip) আট নম্বর লট পৌঁছন। এরপর লঞ্চে কচুবেড়িয়া যান। সেখানে দমকলের পাশাপাশি পুণ্যার্থীদের ব্যবহার জন্য তৈরি জেটি, রাস্তা পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, দমকলের আধিকারিক, অতিরিক্ত জেলাশাসক নীতিশ ঢালি-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

কচুবেড়িয়া পয়েন্টে একটি অস্থায়ী ফায়ার স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। সেই স্টেশন সরেজমিনে ঘুরে দেখেন সুজিত। কোনও প্রয়োজনে কোথা থেকে কীভাবে জল নেওয়া হবে তাও আধিকারিকদের থেকে জেনে নেন তিনি। মেলার দিনগুলিতে কচুবেড়িয়াতেই থাকবেন সুজিত বসু। সাগরের স্থায়ী ফায়ার স্টেশনটিও পরিদর্শন করেন দমকলমন্ত্রী। দুপুরে গঙ্গাসাগর মেলা মাঠে মেলার দমকলের ব্যবস্থাপনা নিয়ে আধিরাকিদের রিপোর্ট (Report) নেন। ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তোষপ্রকাশ করেন তিনি।

এবারের মেলায় দমকল বিভাগ বেশি করে বাইক ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছেন সুজিত। কারণ মেলায় ভিড়ের মধ্যে কোন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে দ্রুত বাইক ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারবে। এই বাইকে একইসঙ্গে জল ও ফোম বহন করা যায়। মুখ্যমন্ত্রীও বেশি বাইক ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ মেনে এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন সুজিত বসু। বলেন, বেশি বাইক ব্যবহার করা হবে। মেলার বিভিন্ন পয়েন্টে এবার ১১টি অস্থায়ী ফায়ার স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া দমকলের আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে মোতায়েন থাকবেন কর্মীরা।

আরও পড়ুন- মালদহের ‘বি.‌টেক চাওয়ালা’, রুজি রুটির জন্য চায়ের দোকান দুই ইঞ্জিনিয়ারের

 

 

 

 

Previous articleমালদহের ‘বি.‌টেক চাওয়ালা’, রুজি রুটির জন্য চায়ের দোকান দুই ইঞ্জিনিয়ারের
Next articleবুধবার থেকে ৩দিন চলবে না উত্তরবঙ্গের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন, সমস্যায় পর্যটকরা