মালদহের ‘বি.‌টেক চাওয়ালা’, রুজি রুটির জন্য চায়ের দোকান দুই ইঞ্জিনিয়ারের

তিনি অবশ্য এরপর আর পড়াশোনা না করলেও, আলমগীর কলকাতার স্বামী বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (Swami Vivekananda Institute of Science and Technology) থেকে ২০২১ সালে বি টেক (B.Tech)পাশ করেন।

পড়াশোনা করেও সেভাবে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন নি বা সুযোগ পান নি, এইরকম নামের তালিকা কিন্তু কম নেই। এবার সেখানে জুড়ল মালদহ (Maldah)জেলার দুই ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর খান (Alamgir Khan) ও রাহুল আলি (Rahul Ali)। রাস্তার ধারে নামি দোকানের পাশেই নিজেদের জীবন যাপনের উপায় খুঁজে নিল মালদহের কালিয়াচকের (Kaliachalk) থানা রোডের আলমগীর এবং ইংরেজবাজার (English Bazar)শহরের রেল কলোনির বাসিন্দা রাহুল।

২০২২ শেষে ২০২৩ পথ চলা শুরু করেছে গত রবিবার। আর সেই দিনেই জীবনের পথে অন্যভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্যই রাস্তায় নামল ‘বি.‌টেক চাওয়ালা’। তবে রাস্তায় নেমে হাঁটা নয় বরং পথ চলতি মানুষের ক্লান্তি দূর করতে একটু বিশ্রাম ,খানিক কথাবার্তা আর সঙ্গে এক কাপ চা। এই সব নিয়েই ‘বি.‌টেক চাওয়ালা’ (B Tech Cha Wala)। আলমগীর ও রাহুল দু’জনেই মালদহে গনি খানের নামাঙ্কিত কারিগরি কলেজের ছাত্র ছিলেন। আলমগীর ২০১৭ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্স করেন। ওই বছরই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্স করেন রাহুল। তিনি অবশ্য এরপর আর পড়াশোনা না করলেও, আলমগীর কলকাতার স্বামী বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (Swami Vivekananda Institute of Science and Technology) থেকে ২০২১ সালে বি টেক (B.Tech) পাশ করেন। আলমগীরের বাবা শাহেনশা খান ঢালাই মেশিন ভাড়া দিয়ে পাঁচ ছেলেমেয়েকে নিয়ে সংসার চালান । রাহুলের বাবা মনসুর আলি পেশায় ট্যাক্সি চালক। একদিকে পরিবারকে সাহায্য করার ইচ্ছে আর অন্যদিকে কাজ করতে করতে আরও পড়াশোনা বা নিজের যোগ্য চাকরি পাওয়ার আশা বুকে নিয়ে এবার বেকার বসে তইলেন না দুই ইঞ্জিনিয়ার। ইংরেজবাজার শহরের স্টেশন রোডে কানি মোড়ে ভাড়া নিয়ে দোকান খুলেছেন তাঁরা। দোকানের উদ্বোধন করেন স্থানীয় ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের (TMC)কাউন্সিলর গৌতম দাস (Gautam das)। দোকান আর দুই মালিকের চা বিক্রির ছবি এখন সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল।

Previous articleমাথা বাইরে রেখে নিজেকে সমাধিস্থ করে মহারাষ্ট্রে অভিনব প্রতিবাদ কৃষকের
Next articleবুধে গঙ্গাসাগর যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, আজ দিনভর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন সুজিত