‘বিডিও অফিসে ঢিল মারুন’: সুকান্তর বিতর্কিত মন্তব্যে পাল্টা গ্রেফতারের দাবি তৃণমূলের

তবে সুকান্তর এমন মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করতে সাধারণ মানুষকে প্ররোচনা দিচ্ছেন সুকান্তবাবু। সংসদে সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়ে এই ধরণের কথা উনি বলতে পারেন না।

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Vande Bharat Express) পাথর ছোড়ার বিরোধিতা করতে গিয়ে এবার বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। পাল্টা বিডিও অফিসে (BDO Office) ঢিল ছোড়ার নিদান দিলেন তিনি। সুকান্ত বলেন, ঘটনার তদন্ত হোক। কারা ঢিল মারছে, তারা অবিলম্বে ধরা পড়ুক। ঢিল মারা বন্ধ হোক। ঢিল মারতে হলে উপযুক্ত জায়গায় গিয়ে মারুন। যেখানে মারার দরকার সেখানেই মারুন। ঘর পাচ্ছেন না, পারলে বিডিও অফিসে ঢিল মারুন। আর বিজেপির রাজ্য সভাপতির এমন বিতর্কিত মন্তব্যের পর শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। পাশাপাশি এমন বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সুকান্ত মজুমদারের গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছে তৃণমূল (Arrest)।

বুধবার রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (Governor CV Anand Bose) সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর রাজভবন থেকে বেরিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিডিও অফিসে ঢিল মারার কথা বলেন সুকান্ত। আপনারা সমস্ত তথ্য তুলে আনুন। কারা উপযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও ঘর পাননি, তথ্য দিন। সেই নামের তালিকা করতে বলেছি। প্রয়োজনে কোর্টে যাবো। ট্রেনে ঢিল মারছেন কেন। আবাস যোজনায় ঘর পাচ্ছেন না, বিডিও অফিসে ঢিল মারুন। প্রতিটি জেলাতেই দুর্নীতির আভাস পাচ্ছি। সুকান্ত আরও জানান, আরও দুটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন পাওয়ার কথা ছিল বাংলার। সারা দেশে মোট ৪৭৫টি বন্দে ভারত ট্রেন চলার কথা। কিন্তু এরকমভাবে এত সুন্দর ট্রেন যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন রেলও হয়তো এ ব্যাপারে ভাববে।

তবে সুকান্তর এমন মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার (JayPrakash Majumder)। তিনি বলেন, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করতে সাধারণ মানুষকে প্ররোচনা দিচ্ছেন সুকান্তবাবু। সংসদে সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়ে এই ধরণের কথা উনি বলতে পারেন না। এই ধরণের সাংসদের জেলে থাকা উচিত।