নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের উলট পুরাণ! শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়। ঘুরপথে টাকার বিনিময়ে যাঁদের শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়েছিল তাঁদের ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছে, সেটা প্রমাণিত। কিন্তু এবার সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযোগকারী প্রার্থীদের মধ্যে অনেকের ওএমআর শিটে কারচুপি ধরা পড়ল।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার জায়গায় শিক্ষিকা পদে নিযুক্ত ববিতা সরকারের চাকরির বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সেই বিতর্কের মাঝেই এবার সিবিআই সূত্রের খবর, অভিযোগকারীদের বেশ কয়েকজনের ওএমআর শিটের নম্বরে কারচুপি ধরা পড়েছে। অর্থাৎ যাঁরা মামলা করেছেন, তাঁরাও কেন্দ্রীয় এজেন্সির এফআইআরে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের মতো একই দোষে দুষ্ট। নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত মিডলম্যানদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারীদের। কিন্তু কাদের টাকা দিয়ে চাকরির চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা? কত টাকা দিয়েছিলেন? আবার হঠাৎ সমস্ত হিসেব উল্টে অভিযোগই বা করে বসলেন কেন? নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এই প্রশ্নগুলোই এখন তাড়া করে বেড়াচ্ছে গোয়েন্দাদের।
সিবিআইয়ের অবশ্য দাবি, এমন অভিযোগকারীদের সংখ্যা খুব বেশি নয়। মাত্র চার-পাঁচজন। কিন্তু কীভাবে সামনে এল এই চাঞ্চল্যকর তথ্য? কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, তদন্তের সময় বেশ কয়েকজন অভিযোগকারীকেও গোয়েন্দারা রেডারে রেখেছিলেন। তাঁদের গতিবিধির উপর নজরদারি চালিয়ে সামনে আসে মিডলম্যানদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি। শুধু তাই নয়, এফআইআরে নাম থাকা অসংখ্য চাকরিপ্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও মেলে একই তথ্য। চাকরি পাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছিলেন এমন কয়েকজন মামলাকারীর নাম গোয়েন্দাদের জানান তাঁরাও।
তদন্তে জানা গিয়েছে, চাকরি পাওয়ার জন্য মিডলম্যানদের ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিয়েছিলেন ওই অভিযোগকারীরা। প্রাথমিক শিক্ষক থেকে অশিক্ষক কর্মচারী, সমস্ত ক্ষেত্রেই এমন লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। টাকা দিয়ে ওএমআর শিটে নম্বর বাড়িয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু কোনও কারণে শেষ পর্যন্ত চাকরিটা হয়নি। তাই তাঁরা চাকরিপ্রার্থী থেকে অভিযোগকারী হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন বলে অনুমান সিবিআইয়ের। শীঘ্রই তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন চলেছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন:কাঁপুনি ধরাচ্ছে শীত! হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় জবুথুবু রাজধানী, বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা
