Katwa: এজলাস থেকে চম্পট ধ*র্ষকের! আইনজীবীর পরামর্শে ফের আদালতে আত্মসমর্পণ

জিতেনের স্ত্রী জানিয়েছেন, বৌ-বাচ্চাকে কে খাওয়াবে এই দুশ্চিন্তায় তাঁর স্বামী আদালত থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। সারা রাত শহরের কাছেই একটি গ্রামে আত্মীয়র বাড়িতে লুকিয়েছিল। গভীর রাতে ঘরে ফেরে। তারপরেই জিতেনের বাড়ির লোক আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

এজলাস থেকে পালানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আদালতে আত্মসমর্পণ (Surrender) করল ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামি (Accused)। শনিবার সকালে কাটোয়া মহকুমা আদালতে পৌঁছয় অভিযুক্ত জিতেন মাঝি (Jiten Majhi)। এদিন আসামির সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নির্মল মণ্ডল। পাশাপাশি তার সাজাও ঘোষণা করেন বিচারক। শনিবার দুপুরে কাটোয়া (Katwa) মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারকের এজলাসে আত্মসমর্পণ করে আসামি জিতেন। তবে জিতেনের স্ত্রী জানিয়েছেন, বৌ-বাচ্চাকে কে খাওয়াবে এই দুশ্চিন্তায় তাঁর স্বামী আদালত থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। সারা রাত শহরের কাছেই একটি গ্রামে আত্মীয়র বাড়িতে লুকিয়েছিল। গভীর রাতে ঘরে ফেরে। তারপরেই জিতেনের বাড়ির লোক আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপরই  শনিবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা আদালতে (Katwa District Court) আত্মসমর্পণ করে জিতেন।

অভিযোগ, শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা আদালতে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয় কেতুগ্রামের বাসিন্দা জিতেন মাঝি। অভিযোগ, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কথা শুনে এজলাস থেকে চম্পট দেয় সে। এদিকে শনিবার অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক দোষী সাব্যস্ত জিতেন মাঝিকে এজলাসে দেখে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি বলে দাবি জিতেনের আইনজীবীর। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে জিতেনের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। ৩৭৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত জিতেন মাঝির দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। জিতেনের স্ত্রী সুপ্রিয়া মাঝি জানান, আমার স্বামী নির্দোষ। আইনজীবী নির্মলকুমার মণ্ডল বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করব।

 

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার ছোট পুরুলিয়া গ্রামে প্রতিবেশী এক প্রতিবন্ধী নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে জিতেনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবার। পুলিশ অভিযুক্ত জিতেনকে গ্রেফতার করে। মাস দেড়েক জেল হেফাজতেই ছিল অভিযুক্ত। পরে জিতেন জামিনে ছাড়া পায়।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্ষণের মামলার শুনানি শেষ হয় গত বছর নভেম্বর মাসে। শুক্রবার ছিল মামলার রায়দান। দুপুরে কাটোয়া মহকুমা আদালতের জেলা জজ এবং দায়রা আদালতের বিচারক সুকুমার সূত্রধর জিতেনকে ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেন। এর পর সুযোগ বুঝে ভরা এজলাস থেকে চম্পট দিয়েছিলেন জিতেন।

 

 

Previous article৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফের জেল হেফাজতে পার্থ-অর্পিতা-মানিক
Next articleআহমেদাবাদে গিজার থেকে বহুতলে আ*গুন, ঝলসে গেলেন কিশোরী