শহিদ দিবসেই নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে “রাম-বাম” অশুভ আঁতাত স্বীকার শুভেন্দুর

বামেদের প্রশংসা করতে গিয়ে সিপিএমের সঙ্গে শুভেন্দু নিজের আঁতাঁতের কথা কার্যত স্বীকার করে নিলেন। মেনে নিলেন সিপিএমের একটা অংশের ভোট তিনি পেয়েছেন।

জমি আন্দোলনের সময় থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামকে (Nandigram) বাম বিরোধী আন্দোলনের পীঠস্থান হিসাব বলা হয়। আজ, ৭ জানুয়ারি শহিদ দিবস (Sahid Diwas)। জমিরক্ষা করতে গিয়ে এই দিনেই সিপিএম (CPIM) হার্মাদদের গুলিতে প্রাণ হারিয়ে ছিলেন তিনজন। এখনও অনেকে নিখোঁজ। মনে করা হয়, সিপিএমের তাণ্ডবে তাঁরাও আর বেঁচে নেই। আজ, শহিদ তর্পণ-এর দিন সেই নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা তথা দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “তৃণমূলের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল বামফ্রন্ট। এদের থেকে অনেক বড় সংগঠন ছিল সিপিএমের। বাংলায় ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু সব বামপন্থী খারাপ নন।” একইসঙ্গে শুভেন্দুর অকপট স্বীকারোক্তি, “অনেক বামপন্থীই আমাদের সঙ্গে এসেছেন। নন্দীগ্রামে একটা বড় অংশ যাঁরা হিন্দু, তাঁরা ভোট দিয়েছেন বলে আমি জিতেছি। আমি তা অকপটে স্বীকার করি।”

আসলে বামেদের প্রশংসা করতে গিয়ে সিপিএমের সঙ্গে শুভেন্দু নিজের আঁতাঁতের কথা কার্যত স্বীকার করে নিলেন। মেনে নিলেন সিপিএমের একটা অংশের ভোট তিনি পেয়েছেন। তৃণমূলের দাবি, শুভেন্দুর কথাতেই প্রমাণিত নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীকে হারাতে অশুভ আঁতাঁত তৈরি করেছিল দলবদলু বিজেপি নেতা।

বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) ফলাফল বলছে, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে সামান্য কিছু ভোটে পরাজিত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেই ফলাফল নিয়ে বিতর্ক আছে। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে গণনায় বেনিয়মের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। এর মধ্যেই বাম-রামের এই অশুভ আঁতাঁত নিয়ে কার্যত বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করলেন বিরোধী দলনেতা।

শুভেন্দুর এমন মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Bishwas) বলেন, “বাম-রামের যে আঁতাত চলছে সেটা আমরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছি। বামেরা ভোট যে রামে গিয়েছে সেটাও শুভেন্দু অধিকারীর কথাতেই প্রমাণিত।”

এদিকে, গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও শুভেন্দুর এমন মন্তব্যকে সমর্থন করছেন না অনেকেই। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলে দিচ্ছেন, “বিজেপির কারও সাহায্যের প্রয়োজন হয় না। বিজেপি একাই নির্বাচন জিততে পারে।” দিলীপবাবুর এমন বক্তব্য আসলে ঘুরিয়ে শুভেন্দুকেই কটাক্ষ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

 

 

Previous articleKerala: বামেদের মহিলা সমিতির সম্মেলনে বেনজির ভুট্টোর ছবি, ব্যাপক সমালোচিত CPM
Next articleদিল্লি দুর্ঘটনায় মৃ*ত অঞ্জলির পরিবারকে আর্থিক সাহায্য শাহরুখের