Tamil Nadu: প্রকাশ্যে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত! রাগে বিধানসভা ছাড়লেন আরএন রবি

তামিলনাড়ুর শাসকদল ডিএমকের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের বক্তব্যের জন্য যে বয়ান লিখে দেওয়া হয়েছিল, তার অনেকটাই পাঠ করেননি রাজ্যপাল।

তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) সরকারের আনা প্রস্তাব না পসন্দ। আর সেকারণেই ক্ষুব্দ হয়ে বিধানসভা (Tamil Nadu Assembly) কক্ষ ছাড়লেন রাজ্যপাল আরএন রবি (RN Ravi)। এমনই বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকল তামিলনাড়ু বিধানসভা। সোমবার রাজ্যপালকে রাজ্য সরকারের তৈরি করে দেওয়া লিখিত ভাষণ পড়তে বলায় বাধে বিপত্তি। এরপরই বিধানসভা কক্ষ থেকে ওয়াকআউট (Walkout) করেন রাজ্যপাল আরএন রবি। পাশাপাশি এমন পদক্ষেপের পর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তামিলনাড়ু ছাড়ো স্লোগান ওঠে। ডিএমকের (AIDMK) এক বিধায়ক চিৎকার করে বলেন, এখানে বিজেপি (BJP), আরএসএসের (RSS) আদর্শ খাটালে মানব না। এদিন তামিলনাড়ু বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন (Winter Session) শুরু হয়েছে।

জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর শাসকদল ডিএমকের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের বক্তব্যের জন্য যে বয়ান লিখে দেওয়া হয়েছিল, তার অনেকটাই পাঠ করেননি রাজ্যপাল। এরপরই তামিলনাড়ু বিধানসভায় এই মর্মে প্রস্তাব আনা হয় যে, সরকারের লিখে দেওয়া বয়ানের বাইরে রাজ্যপাল কিছু বললে কিংবা কোনও অংশ বাদ দিয়ে দিলে, তা বিধানসভায় নথিবদ্ধ হবে না। এ বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন (MK Stalin) বিধানসভার স্পিকারকে অনুরোধ জানান। এরপরই বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল। এদিন রাজ্য সরকারের লিখিত ভাষণের কিছু অংশ বাদ দিয়ে রাজ্যপাল নিজের মতো করে সামান্য অংশ জুড়ে পাঠ করেন। আর তা নিয়েই তুঙ্গে ওঠে রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী বিবাদ। পরে রাজ্যপালের সরকারি ভাষণ নথিভুক্ত করার জন্য একটি প্রস্তাব পাশও হয়। জানা যাচ্ছে, রীতি অনুসারে অধিবেশন শেষের জাতীয় সঙ্গীত পর্যন্তও তিনি অপেক্ষা করেননি।

রাজ্য সরকারের লিখিত ভাষণ পাঠের সময় রাজ্যপাল আরএন রবি ধর্মনিরপেক্ষতা, পেরিয়ার, বিআর আম্বেদকর, কে কামরাজ, সি এন আন্নাদুরাই এবং করুণানিধির নাম এড়িয়ে যান। পাশাপাশি দ্রাবিড় মডেলকেও নিজের বক্তব্যে উহ্য রাখেন রাজ্যপাল। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী প্রকৃত ভাষণ নথিভুক্ত করার জন্য একটি প্রস্তাব আনেন এবং তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। তবে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন এদিন তাঁর প্রস্তাবে রাজ্যপালের আচরণকে সংবিধান বিরোধী কাজ বলে উল্লেখ করেন। ডিএমকের শরিক দল কংগ্রেস, ভিসিকে, সিপিআই এবং সিপিএম আগেই এদিন রাজ্যপালের ভাষণ বয়কট করেছিল। তাদের অভিযোগ, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল রাজ্যপাল আটকে রেখেছেন। তার মধ্যে রয়েছে, অনলাইন জুয়া বন্ধ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা খর্ব করা। মোট ২১ বিল বিধানসভায় পাশ হলেও রাজ্যপাল রবি এদিন একটিতেও স্বাক্ষর করেননি বলে অভিযোগ।

উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যপাল এবং তামিলনাড়ু সরকারের মধ্যে নানা বিষয়ে সংঘাত চলছে। রাজ্যপালকে ‘বিজেপির দ্বিতীয় রাজ্য সভাপতি’ বলে বিদ্রুপও করেছে ডিএমকে।

 

Previous articleজল্পনাই সত‍্যি, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিন ম‍্যাচের একদিনের সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন বুমরাহ
Next articleছয়তলা বাড়ি পুরোটাই গাড়ির, পার্কিং জোন ‘সম্পন্ন’ উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর