নন্দন চত্বরে শুরু সাহিত্য উৎসব ও লিটল ম্যাগাজিন মেলা

লিটল ম্যাগাজিন বাঁচে, তাকে বাঁচতে হয় প্রজন্মের পর প্রজন্ম।

লিটল ম্যাগাজিন। বিশ্ব সাহিত্যে যার মূল্য অপরিসীম। প্রবীণ-নবীন কবি, গল্পকার, সম্পাদকের ভিড়ে যেন নতুন প্রাণ পেল সবার প্রিয় নন্দন চত্বর।

সমস্ত হাইরাইজ আর কংক্রিট পার করে লিটল ম্যাগাজিন থেকে যাবে মাটির হৃদয়ের চাষে-আবাদে। বুধবার একতারা মুক্তমঞ্চে সাহিত্য উৎসব ও লিটিল ম্যাগাজিন মেলা উদ্বোধন করেন  প্রবীণ কথাকার অমর মিত্র ও কবি দেবদাস আচার্য।উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী তথা বাংলা আকাদেমির সভাপতি ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।উপস্থিত ছিলেন ইতিহাসবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, কলকাতা বইমেলার কর্তা ত্রিদিব চট্ট্যোপাধ্যায়,  নাট্য ব্যক্তিত্ব অর্পিতা ঘোষ, কবি সুবোধ সরকার প্রমুখ।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন,লিটল ম্যাগাজিন আস্ত একটি আন্দোলন। সে তার সমস্ত জেদ আর অহংকার নিয়ে যুগের পর যুগ এগিয়ে চলেছে গুটি গুটি পায়ে৷লিটল ম্যাগাজিন বাঁচে, তাকে বাঁচতে হয় প্রজন্মের পর প্রজন্ম।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগীতায় পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি-র উদ্যোগে আকাদেমির রবীন্দ্র সদন প্রাঙ্গণে ১১-১৫ জানুয়ারি ২০২৩ সাহিত্য উৎসব ও লিটিল ম্যাগাজিনের মেলা জমে উঠবে বলে মনে করছেন সাহিত্য প্রেমীরা।
লিটল ম্যাগাজিন মেলাসহ উৎসবের বিভিন্ন দিনে আকাদেমি প্রবর্তিত স্মারক বক্তৃতা, প্রদর্শনী, গান সহ আলোচনাসভা, কবিতা ও গল্প পাঠ এবং প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে।
থাকছে প্রায় ৫০০ জন কবি-লেখকের সম্মিলন। ৩৫০ লিটল ম্যাগাজিনের সম্ভার।এদিন ১৩ জন লেখককে নানা সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়।
লিটল ম্যাগাজিনের উপর আলোচনা ও গ্রন্থ প্রকাশে বিশেষ আকর্ষণ থাকছে।

এই ৫ দিনের সাহিত্য মেলায় ৩৯৬ জন বাঙালি কবি তাদের স্বরচিত কবিতা পাঠ করবেন। ১১০ জন গদ্যকার শোনাবেন তাদের গল্পের জন্মকথা।

এছাড়া প্রতিদিন থাকছে ‘বই থেকে ছবি’, ‘আমাদের মুখোমুখি আমরা’, ‘কলমে না কণ্ঠে’, ‘লিটল ম্যাগাজিনের ঘর গেরস্থালি’, ‘নবস্পন্দন’, ‘লেখালেখির অন্দরমহল’ শিরোনামে আলোচনা সভা। পাঁচ দিনের মেলায় ৮ জন বিশিষ্ট গল্পকারের গল্প পাঠ করবেন বাচিক শিল্পীরা। থাকছে ‘দুই কবি মুখোমুখি’ শিরোনামে কবিদের আলাপচারিতা। অংশ নেবেন ছয় জন যশস্বী কবি।

এদিন গগনেন্দ্র প্রদর্শনশালায় উদ্বোধন হলো মাইকেল মধুসূদন দত্তের দ্বিশত জন্মবর্ষের স্মরণে ‘তিষ্ঠ ক্ষণকাল’ প্রদর্শনী। একই সঙ্গে নবপন্দন গ্রন্থমালা সিরিজে দুজন তরুণ লেখিক সায়ন্তনী ভট্টাচার্য ও দেবপ্রিয়া সরকার এবং দুই তরুণ কবি সুমন মল্লিক ও সুমন ঘোষের চারটি বই প্রকাশিত হয়।
বাংলা আকাদেমির উদ্যোগে সাহিত্য উৎসবের উদ্বোধন মঞ্চে প্রকাশিত হয় স্বামী বিবেকানন্দ ও সমকালীন ভারতবর্ষ-এর দ্বিতীয় খণ্ড, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাবলীর প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড। এছাড়া উদ্বোধনী মঞ্চে অর্পণ করা হয় বাংলা আকাদেমি প্রবর্তিত ১১টি স্মারক সম্মান। এবারের স্মারক সম্মান পেয়েছেন নির্মাল্য মুখোপাধ্যায়, শিবাশিস মুখোপাধ্যায়, প্রকাশদাস, শৌভিক দে সরকার, সমজ্ঞী বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবারতি মিত্র, জহর সেন মজুমদার প্রমুখ।
লিটল ম্যাগাজিন সম্মান পেলেন ‘বিজ্ঞান পর্ব’ পত্রিকার সম্পাদক রবিন ঘোষ । প্রতিদিনই সন্ধ্যায় একতারা মুক্তমঞ্চে থাকছে লোকসঙ্গীত ও বরেণ্য ব্যক্তিদের বাংলা গানের অনুষ্ঠান।

Previous article‘হোমিওজ্যোতি’ এবং ‘হোমিওরত্ন’ সম্মাননা দেবে বিএইচসিডিএ
Next articleঅনাদায়ী করের বেশিটাই কর্পোরেটদের, শীর্ষে গুজরাত, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্র