জাকির-আমিরুদ্দিনকে তলব আয়কর দফতরের, আনতে হবে একাধিক নথি  

যদিও সংবাদমাধ্যমকে জঙ্গিপুরের বিধায়ক সাফ জানিয়েছেন, ওই নগদ অর্থের উপযুক্ত নথি তিনি আয়কর দফতরকে জানিয়ে দেবেন। তিনি ব্যবসায়ী। তাঁর বিভিন্ন কারখানায় কাজ করা শ্রমিকদের বেতন দিতেই এই নগদ টাকা রাখা হয়েছিল।

আয়কর দফতরের (Income Tax) স্ক্যানারে জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন (Jakir Hossain) ও কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর (KMC Councilor) আমিরুদ্দিন ববি (Amiruddin Bobby)। বুধবার একদিকে যেমন মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তাঁর বিড়ি কারখানা থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে, ঠিক তেমনই ওইদিনই কলকাতায় আমিরুদ্দিনের হোটেলে ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এবার বিধায়ক জাকির হোসেন ও কলকাতা পুরসভার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ আমিরুদ্দিন ববিকে কলকাতায় তলব করা হল। আগামী সপ্তাহেই তাঁদের আয়কর দফতরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়ে আসতে বলা হয়েছে গত ৫ বছরের আয় (Income), ব্যবসা (Business), ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন (Income Tax Return), ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট (Bank Statement) সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি।

উল্লেখ্য, বুধবার সকালেই জাকির হোসেনের বাড়িতে হানা দেয় আয়কর দফতরের বিশাল প্রতিনিধি দল। ১১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে তল্লাশি। প্রাক্তন মন্ত্রী ও এলাকার বিধায়ক জাকির হোসেনের বাসভবন, তেলকল, রাইস মিল, বিড়ির কারখানা সহ মোট ২৮ জায়গায় অভিযান চালায় আয়কর দফতর। তল্লাশিতে ১১ কোটি নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। সূ্ত্রের খবর এর মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রীর অফিস থেকেই উদ্ধার হয়েছে ৯ কোটি টাকা। তবে জাকির জানিয়েছেন তাঁর বাড়ি থেকে ১১ নয়, উদ্ধার হয়েছে ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। যদিও সংবাদমাধ্যমকে জঙ্গিপুরের বিধায়ক সাফ জানিয়েছেন, ওই নগদ অর্থের উপযুক্ত নথি তিনি আয়কর দফতরকে জানিয়ে দেবেন। তিনি ব্যবসায়ী। তাঁর বিভিন্ন কারখানায় কাজ করা শ্রমিকদের বেতন দিতেই এই নগদ টাকা রাখা হয়েছিল। পাশাপাশি জাকির আরও জানিয়েছেন টাকার সমস্ত হিসেবে তাঁর আছে বলে দাবি জাকিরের। তবে কলকাতার আয়কর দফতরে তিনি হাজিরা দেবেন কী না সেই বিষয়ে তিনি কিছুই স্পষ্ট করেননি। জাকির জানিয়েছেন তিনি সমস্তটা আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠিয়ে দেবেন।

তবে শুধু জাকিরই নন, কলকাতা পুরনিগমের মেয়র পারিষদ তথা কলকাতা পুরসভার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমিরুদ্দিন ববিকেও তলব করা হয়েছে আগামী সপ্তাহে। ২০১০ সাল থেকে কলকাতা পুরনিগমের কাউন্সিলর তিনি। ইকবাল আহমেদ ডেপুটি মেয়র থাকাকালীন, আমিরুদ্দিন তাঁর ঘনিষ্ঠ বলেই রাজনৈতিক মহলে পরিচত ছিলেন। মেয়র পারিষদ হওয়ার আগে থেকেই তিনি ব্যবসায়ী। পার্ক সার্কাস, মল্লিকবাজার, নিউমার্কেট এলাকায় ব্যাঙ্কোয়েট ব্যবসার পাশাপাশি পরিবহণ ব্যবসাও বেড়েছে তাঁর। হোটেল ব্যবসা কলকাতা ছাড়িয়ে ভিন রাজ্যে রয়েছে। সেই আমিরুদ্দিন ববিকে এবার তলব আয়কর দফতরের। তাঁকেও সমস্ত নথি নিয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।

 

 

Previous articleউল্টো দিক দিয়ে গঙ্গা আরতি করে ফের বিতর্কে সৌমিত্র খাঁ
Next article১১ কোটি নয়, জাকির হোসেনের বাড়িতে মিলেছে ১ কোটি ৭০ লক্ষ! দাবি জঙ্গিপুরের বিধায়কের