১১ কোটি নয়, জাকির হোসেনের বাড়িতে মিলেছে ১ কোটি ৭০ লক্ষ! দাবি জঙ্গিপুরের বিধায়কের

সাংবাদিক বৈঠক করে জাকির হোসেন দাবি করেন, ১১কোটি বলে যেটা রটানোর চেষ্টা হচ্ছে, তা সর্বৈব মিথ্যা। গত, বুধবার আয়কর দফতরের অভিযানের সময় তাঁর বাড়ি থেকে মাত্র ১ কোটি ৭০ লক্ষ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। 

আয়কর দফতরের হানা। আর তাকে কেন্দ্র করে ফের সংবাদ শিরোনামে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন (Zakir Hossain)। গত বুধবার ঘটনার সূত্রপাত। জাকিরের বাড়ি, বিভিন্ন কারখানা ও কার্যালয়ে হানা দেন আয়কর দফতরের (Income Tax Department) আধিকারিকেরা। দীর্ঘ তল্লাশির পর গতকাল, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিধায়কের (MLA) বাড়ি থেকে নগদ প্রায় ১১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু আয়কর দফতরের (Income Tax Department) সেই দাবিকে উড়িয়ে দিলেন জাকির। তাঁর দাবি, ১১কোটি বলে যেটা রটানোর চেষ্টা হচ্ছে, তা সর্বৈব মিথ্যা। বুধবার আয়কর দফতরের অভিযানের সময় তাঁর বাড়ি থেকে মাত্র ১ কোটি ৭০ লক্ষ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। আজ, শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই দাবি করলেন জাকির হোসেন (Zakir Hossain)।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “আয়কর দফতরের আধিকারিকরা যখন আমার বাড়িতে অভিযান চালান, সেই সময় বাড়িতে আমার বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক, কর্মচারী এবং শিক্ষকদের বেতনের টাকা এবং বাড়ির মহিলাদের টাকা রাখা ছিল। সেই টাকার পরিমাণ মাত্র ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। আমি জেলার একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। এই টাকা আমার আয়ের সঙ্গে একদমই অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।”

এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, “আমার মনে হয় রাজনৈতিক কারণেই আচমকা বাড়িতে আয়কর দফতরের অভিযান চালানো হয়েছে। নির্বাচনী হলফনামাতেই আমি লিখেছিলাম আমার বার্ষিক আয় ৬৫ কোটি টাকারও বেশি”।

জাকির হোসেনের আরও দাবি, “গত ২৩ বছর ধরে আমি এবং আমার সংস্থা মুর্শিদাবাদ জেলার সর্বোচ্চ আয়করদাতা। এবছরও আমি ১০ কোটি টাকার বেশি আয়কর দেব। তবে আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা যে বিষয়গুলো জানতে চেয়েছেন তা আমার চার্টার্ড একাউন্টেন্ট এবং অন্য আইনজীবীরা দেখছেন। গোটা লড়াইটি আইনিভাবে লড়ব”।

”শিব রাইস মিল” ইস্যুত জাকির হোসেন দাবি করেন, “আমার শিব বিড়ি কোম্পানি থেকে কোনও টাকা আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা নিয়ে যাননি এবং সে কথা তাঁরা লিখিতভাবে আমাকে জানিয়ে দিয়ে গেছেন। আর শিব রাইস মিলের আর্থিক কাজকর্মের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আমার স্ত্রী ওই মিলের একজন অংশীদার মাত্র। সেখানে কত টাকা উদ্ধার হয়েছে বা আয়কর দফতরের আধিকারিকরা কী নিয়ে গেছেন তা আমার জানা নেই। আমি জানতেও চাই না।”

Previous articleজাকির-আমিরুদ্দিনকে তলব আয়কর দফতরের, আনতে হবে একাধিক নথি  
Next articleমোদির ‘আত্মনির্ভর’ নামেই, ২০২২-এ রেকর্ড চিনা পণ্য আমদানি ভারতে