উদ্বোধনের পরে প্রথম রথযাত্রা দিঘার জগন্নাথ মন্দির। উৎসাহ উদ্দীপনা। প্রশাসন। ইতিমধ্যে দিঘায় পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার, রথযাত্রার (Rath Yatra) নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করেন তিনি। একেবারে রাস্তায় হেঁটে দেখে নেন ব্যবস্থাপনা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়ে দেন রথযাত্রার সূচি।

সব বিষয় খতিয়ে দেখতেই বুধবার দিঘায় পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম থেকেই পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। দিঘার জগন্নাথ মন্দির থেকে মাসির বাড়ি- প্রায় এক কিলোমিটার পথ জুড়ে গড়াবে রথের চাকা। বিপুল জনসমাগম সামলাতে প্রশাসন, পুলিশ, দমকল ও জনপ্রতিনিধিদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন দুপুরে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে (Jagannath Temple) নেত্র উৎসবে যোগ দেন মমতা। সেই সঙ্গে সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন গোটা ব্যবস্থাপনা। বৃষ্টি হলে পুণ্যার্থীদের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় সেই নিয়ে সতর্ক করেন প্রশাসনকে। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee জানান রথযাত্রার সূচি। বলেন, ”কাল সকাল ৯টা থেকে পুরোহিতরা নিজেদের পুজোপাঠ শুরু করবেন নিয়ম অনুযায়ী। দর্শকরা জগন্নাথধাম দেখতে পারবেন ৯.৩০টা থেকে। মানুষ আসুক, মন্দির খোলা থাকবে। মূল বিগ্রহ মন্দিরেই থাকবে। রাতেই রথ লাগিয়ে দেওয়া হবে। ২টো থেকে আড়াইটে পর্যন্ত আরতি হবে। সাড়ে ৪টের সময় রথযাত্রা শুরু হবে।”

নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি জানান, ”রাস্তায় লোক থাকবে না, লোক থাকবে ব্যারিকেডে। পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা যাতে না ঘটে তাই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। হোল্ডিং এরিয়া করে দেওয়া হচ্ছে। রথ যাওয়ার পথে থামবে, মানুষ দেখতে পারবেন। ব্যারিকেডের সঙ্গে দড়ি ছোঁয়ানো থাকবে। দড়ি স্পর্শ করা যাবে”

দর্শনার্থীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”আপনাদের সহযোগিতা কাম্য। শুভকামনা চাইব কারণ এটা আমরা প্রথমবার করছি। দিঘার জগন্নাথধামে জগন্নাথদেব কাল মাসির বাড়ি যাবেন। এবং উল্টোরথে আবার ফিরে আসবেন। উভয় যাত্রাই যেন শান্তিপূর্ণ হয় সেই কামনা করছি। আপনাদের সকলকে স্বাগত এবং আপনাদের সহযোগিতা চাইছি।”
স্নানযাত্রার পরে ‘অনসরে’ ছিলেন জগন্নাথ। সেই পর্ব কাটিয়ে এদিন সকাল ৬টায় জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের দরজা খোলা হয়। নবসাজে দেখা দেন জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা। এদিন ৬ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে ভক্তদের। প্রধান ফটক দিয়েও যাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সকালে মঙ্গলারতি এবং প্রতীকী স্নানের পর আজ দেবতাকে ৫৬ ভোগ নিবেদন করা হয়। ছিল খিচুড়ি, ডাল, বিভিন্ন ধরনের ভাজা, সুক্তো, পটলের তরকারি, মোচার তরকারি, বৈতালের ঘণ্ট-সহ একাধিক পদ। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি ও পায়েস। বিকেলে রশি পুজো।

–

–

–

–

–

–

–
–
–