Friday, November 14, 2025

বিজেপিকে ফের নিশানা করার পাশাপাশি এবার বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের প্রশংসা করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল বলেন, “ওনাকে সর্বভারতীয় সভাপতি করা উচিত বিজেপির।”

এদিন কুণাল বলেন, একটা লোক এত মণিমাণিক্য ছড়ায়। সকাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি পার্কে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। ওঁর একটা পদোন্নতি পাওয়া উচিত,পুরস্কার পাওয়া উচিত।এবিষয়ে বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের প্রসঙ্গও টেনে আনেন তৃণমূল মুখপাত্র। দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে বলেন, জগদীপ ধনকড় যদি প্রোমোশন পেতে পারেন। তাহলে দিলীপ ঘোষ ঘুম থেকে উঠে এত পারফর্ম করে কেন পুরস্কার পাবেন না? শুভেন্দু অধিকারী ওঁকে এত কাঠি করে, তাও দিলীপদা মাথা উঁচু করে বিরোধিতা করেন। পদ খুইয়ে সুকান্ত মজুমদারকে আক্রমণ করেন। তাই ওঁর প্রোমোশন পাওয়া উচিত।

বিজেপির দিল্লি নেতৃত্বকে ‘যমদূত’ বলেও কটাক্ষ করেন কুণাল। বলেন, বিজেপি মানুষ ছাড়া সকলের উপর নির্ভর করে। শুনলাম, জে পি নাড্ডা পঞ্চায়েত নিয়ে কথা বলবেন। নিজের রাজ্যে জিততে পারে না। এখানে আবার পঞ্চায়েত নিয়ে আসবে। কুণালের চ্যালেঞ্জ,ক্ষমতা থাকলে, দিদির দূতের মতো মোদির যমদূত হয়ে গ্রামে-গ্রামে যান। দিল্লি থেকে যারা আসবেন তাঁরা যমদূত।

লালন শেখ নিয়ে সিবিআইয়ের ব্যাবস্থা প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, এটা একেবারে রুটিন প্রসেস। এটা আরো আগে নেওয়া উচিত ছিল সিবিআইয়ের।তিনি মনে করিয়ে দেন, শুভেন্দু অধিকারী সেই সময় বলেছিলেন ১২ ডিসেম্বর একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন।কাকতালীয়ভাবে ১২ ডিসেম্বরে  সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু হল লালন শেখের। শুভেন্দু কেন এই নির্দিষ্ট দিনটিকেই বললেন ? সেটাও তো তদন্ত হওয়া উচিত। লালন শেখের মৃত্যু নিয়েও কি সেরকম কোনও নির্দেশ ছিল ? সেটা তদন্ত করুক সিবিআই।

রুটিন কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে আসল জিনিসের থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে। কেমন করে সেই আত্মহত্যা হলো, মৃতদেহ কেমন ভাবে ছিল, এসব প্রশ্নের উত্তর কিন্তু এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টাতেই সিবিআইয়ের এই ব্যবস্থা।

এদিনও কুণাল অভিযোগ করেন, দিল্লির প্রতিনিধি দল তো রাজনৈতিক পর্যটকের মতো এখানে ঘুরতে আসে।তাদের উপর স্পষ্ট নির্দেশ থাকে কার সঙ্গে কথা বলতে হবে, কী জিজ্ঞেস করতে হবে।দত্তপুকুরের ঘটনা প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি চলাকালীন সেখানে বিজেপির কয়েকজন প্রবেশ করে প্ররোচনা দেয় এবং আমাদের একজন কর্মী মেজাজ হারিয়ে তাকে চড় মারেন। এই ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এমনকি আমাদের সমস্ত কর্মীদের কাছে আমরা ফের বলব, যে কোনও প্ররোচনায় আপনারা পা দেবেন না।

 

Related articles

গণমাধ্যমই সাঁটিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশী তকমা! জবাব দিতে তৈরি বাংলা

পেশায় শ্রমিক। পেটের দায়ে তারা নানা জায়গায় ছোটেন। কাজের তাগিদে অন্যত্র গেলেই একশ্রেণির মিডিয়া চিৎকার করে ওঠে, ওই...

বিহারের ফলাফলে বাংলা নিয়ে মোদির স্বপ্ন ‘সেগুড়ে বালি’: ধুইয়ে দিল তৃণমূল

একদিকে যখন বিহারে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হচ্ছে, তখন বাংলার বিজেপি নেতারা হঠাৎই আবির খেলা, মিষ্টিমুখে মেতে উঠেছেন। ফলাফল...

SIR আতঙ্কে মৃত্যু: পরিবারের পাশে তৃণমূল নেতৃত্ব

SIR–এর আতঙ্কে প্রায় এক সপ্তাহ আগে আত্মঘাতী হন মুর্শিদাবাদের কান্দি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাগডাঙা এলাকার বাসিন্দা মোহন...

দিল্লি বিস্ফোরণের জের: রাজ্যের বিশেষ বিশেষ স্থানে ঢেলে সাজছে নিরাপত্তা

রাজধানীতে গোয়েন্দা ব্যর্থতা স্পষ্ট। সেই সঙ্গে অমিত শাহর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দিল্লি পুলিশও। দিনভর ঘাতক গাড়ি ঘুরে বেড়ালো, অথচ...
Exit mobile version