নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ-সুবীরেশদের শুনানি শেষ।বৃহস্পতিবারও জামিনের বিরোধিতা করল সিবিআই।নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ-সহ ৭জনের ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ।
এদিন জামিনের আবেদন জানিয়ে আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সেলিম রেহমানের সওয়াল, ‘একটা টাকাও নিইনি, একটা টাকাও আমার থেকে উদ্ধার হয়নি। অযোগ্য প্রার্থীদের কথা বলা হচ্ছে, এখানে আমার ভূমিকা কী ? আর কতদিন এই বৃহত্তর ষড়যন্ত্র বলে সিবিআই সময় পাবে ? জেল থেকে বেরিয়ে তো আমি শিক্ষা দফতরে চলে যেতে পারব না ? তদন্তে কোনও অগ্রগতিও নেই। এবার জলি এলএলবি সিনেমার মতো ধর্না দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না’।
আদালতে পার্থের হয়ে জামিনের আবেদন করার পর তাঁর দাবি, সিবিআইয়ের তরফে ‘বৃহৎ ষড়যন্ত্র’-র কথা বললেও তা দেখাতে পারছে না কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। প্রমাণ দেখতে আর কত দিন সময় লাগাবে সিবিআই?
গ্রুপ সি মামলায় দুই মিডলম্যান প্রসন্ন ও প্রদীপ সিংহকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। সেই মামলার শুনানি ২৪ জানুয়ারি। সিবিআই তদন্তের দ্রুত অগ্রগতি চান বিচারক। এদিন শুনানি চলাকালিন তদন্তের গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারক বলেন, ‘তদন্তের ৩ ভাগ করলেও, ১ ভাগ হচ্ছে না কেন ?’
সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে সেলিম আরও দাবি করেন, কে যোগ্য আর কে অযোগ্য, তা দেখার দায়িত্ব দফতরের ছিল, তাঁর মক্কেলের না। সিবিআই পুরো দোষ তাঁর মক্কেলের উপর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে। সিবিআইয়ের তরফে যে প্রভাবশালী তত্ত্ব দেওয়া হয়েছে তা-ও ভ্রান্ত বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে মামলার শুনানির জন্য আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর সঙ্গে আলিপুরের এই জজ কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিন্হা এমনকি, দুই মিডল ম্যান প্রসন্ন রায় এবং প্রদীপ সিংহকেও। অন্যদিকে নবম-দশম শ্রেণির তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারক।