Monday, November 24, 2025

কেন ভুল বকছেন! শুভেন্দুর হলো টা কী?

Date:

Share post:

স্থান-কাল-পাত্র, কিছুই মানছেন না। মুখের ভাষায় লাগাম নেই। নিজের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক পদের অমর্যাদা করেই চলেছেন। রাজনীতির ময়দানে নেমে গঠনমূলক সমালোচনার ধারকাছ দিয়ে হাঁটেন না, বরং সবকিছুকেই ব্যক্তিগতভাবে নেওয়াই স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি তাল-জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর হলো টা কী? কিছু কিছু রাজনীতিবিদ মনে করছেন, দলের ভিতরে-বাইরে প্রবল চাপের মধ্যে রয়েছেন শুভেন্দু। তাই হতাশার বহিঃপ্রকাশ থেকে মানসিক ভারসাম্য হারাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা। একটি সময়ে জানা গিয়েছিল, রাজ্য বিজেপি সভাপতি হতে চলেছেন শুভেন্দু। কিন্তু দিল্লির নেতৃত্ব শুভেন্দুর একনায়কতন্ত্র মনোভাবের বিষয়টি ভেবে এবং দলের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে গিয়ে শুভেন্দুকে সেই পদে আর বসায়নি। ফলে অনেক না পাওয়ার বেদনা থেকে আরও অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ছেন শুভেন্দু। বাড়ছে অসহিষ্ণুতা। শুধু রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগতভাবেও কাউকে সহ্য করতে পারছেন না শুভেন্দু, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটি বড় অংশ।


আরও পড়ুন:‘অযোগ্য শিক্ষক দেশে বরাবরই ছিলেন’, মত নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়কের

খুব সম্প্রতি নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকেও নিশানা করতে ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী। যে অমর্ত্য সেন অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ১৯৯৯ সালে বিজেপি সরকারের আমলেই “ভারতরত্ন” সম্মান পেয়েছিলেন। অর্মত্য সেনের একটাই দোষ, লোকসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সার্টিফিকেট দিয়েছেন, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যোগ্য রাজনীতিবিদ হতে পারেন মমতা। আর সেটাই গায়ে লোগেছে শুভেন্দুর। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ সম্পর্কে শুভেন্দু মন্তব্য, ”বিদেশে থাকুন, বিশ্রামে থাকুন। পরামর্শ যদি দিতে হয়, তালিবান সরকারকে দিন”।

এর আগেও সরকারি বিজ্ঞাপনে মুখ্যমন্ত্রীর হাসিমুখের ছবিকে বেনজির ভাবে কুৎসিত ভাষায় বিশেষণ করেছিলেন শুভেন্দু, যা বিরোধী দলনেতা সুলভ নয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কুৎসা করা শুভেন্দুর রোজনামচা। এসবই কিন্তু অসহিষ্ণু মনোভাবের পরিচয়।


কিছুদিন আগে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি বক্তব্য রাখার আগেই বেরিয়ে যান শুভেন্দু। তাঁর আগে
ভারতী ঘোষ, রাজু বিস্তরা বক্তব্য রাখলেও, শুভেন্দু বলার সুযোগ পাননি। রাজনৈতিক মহল মনে করছে সেই কারণেই মোদির বক্তব্য রাখার আগেই সভাস্থল ত্যাগ করেন শুভেন্দু। এটাও হতাশার বহিঃপ্রকাশ। ফলে ঘরে-বাইরে সবদিক থেকে কোণঠাসা হয়ে থাকা শুভেন্দু চূড়ান্ত হতাশা থেকে মানসিক ভারসাম্য হারাচ্ছেন বলে মনে করছেন শুধু বিরোধী দল নয়, তাঁর নিজের দলের অনেকে নেতাই।

 

spot_img

Related articles

মুখাগ্নি করার সুযোগ অবশেষে পেলেন সানি?

সোমবার, বেলা গড়াতেই নক্ষত্র পতন। দেওল পরিবারের সকলের পরণে সাদা পোশাক, একটা অ্যাম্বুল্যান্স আর সঙ্গে কিছু গাড়ি। এদিকে...

বিধানসভা ভোটের আগে বাংলায় নয়া রাজনৈতিক জোট! নির্বাচনী ইস্তেহারও প্রকাশ

বাংলার দরজায় প্রায় কড়া নাড়ছে বিধানসভা নির্বাচন। ঘুঁটি সাজাচ্ছে রাজনৈতি দলগুলি। এর মধ্যেই সোমবার বিকেলে কলকাতা প্রেস ক্লাবে...

রাজ্যের এমএসএমই শক্তিশালী করতে র‌্যাম্প প্রকল্পে শুরু হচ্ছে বড়সড় সমীক্ষা 

রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পকে আরও শক্তিশালী করতে বিশ্বব্যাংক–সমর্থিত র‌্যাম্প (RAMP) প্রকল্পের আওতায় বিস্তৃত সমীক্ষা চালাতে চলেছে...

নির্বাচনের আগে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি: নেতৃত্বকে ১০০ শতাংশ ফর্ম জমার টার্গেট দিলেন অভিষেক

রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই তা নিয়ে সতর্ক করেছিলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো...