ভুল চিকিৎসার শি*কার তসলিমা ! ক্ষো*ভ উগরে দিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়

"হাসপাতালের এক ডাক্তারকে বিশ্বাস করেছিলাম। ভেবেছিলাম সে বোধ হয় বন্ধু, তাকে জানিয়েছিলাম যে পড়ে গিয়েছিলাম ঘরে, এক্সরে করতে হবে। সেই বন্ধু আমাকে পাঠিয়ে দিল তার হাসপাতালের অর্থপেডিক ডাক্তারের কাছে যিনি হিপ রিপ্লেসমেন্টের এক্সপার্ট।"

চিকিৎসা বিভ্রাটের (Medical interruption)মাশুল গুনতে হচ্ছে ‘আমার মেয়েবেলা’-র স্রষ্টা বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে (Taslima Nasrin)। সম্প্রতি চিকিৎসা সংক্রান্ত নিজের তি*ক্ত অভিজ্ঞতার কথা সমাজ মাধ্যমে তুলে ধরেছেন লেখিকা। পাশাপাশি চিকিৎসকদের (Doctors) একাংশের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সোচ্চার হয়েছেন তসলিমা। তাঁকে প*ঙ্গু করে দেওয়ার চক্রা**ন্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল? কিছু দিন আগেই তিনি নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন, যেখানে দেখা যাচ্ছিল তিনি হাসপাতালের (Hospital)বেডে শুয়ে আছেন ৷ তাঁকে ঘিরে শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভিড় দেখা যায় ৷ এরপরই একাধিক পোস্ট করেন লেখিকা।

তসলিমার অভিযোগ, তিনি অপরাধ চক্রের শিকার ৷ গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তিনি নিজের এক্সরে রিপোর্ট দেখেছেন৷ তাঁর কোনও ফ্র্যাকচার হয়নি বলেই দাবি লেখিকার ৷ এরপরই গর্জে ওঠেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা (Taslima Nasrin)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি ফেসবুক লেখেন, ” ধিক্কার দিচ্ছি নিজেকে। ধিক্কার দিচ্ছি এতকালের আমার মেডিক্যাল জ্ঞানকে। আমাকে হাসপাতালে মিথ্যে কথা বলা হয়েছিল যে আমার হিপ বোন ভেঙ্গেছে। আমার জীবনে কোনও জয়েন্ট পেইন ছিল না, জয়েন্ট ডিজিজ ছিল না। আমাকে মিথ্যে কথা বলে, ফিমার ফ্র্যাকচারের ট্রিটমেন্টের নামে আমাকে হিপ জয়েন্ট কেটে, ফিমার কেটে ফেলে দিয়ে আমাকে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।” যদিও ঠিক কোন হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটেছে সেই বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করেন নি লেখিকা। এর আগে অবশ্য আরও একটি পোস্ট করেন তসলিমা। সেখানে লেখেন, ” হাসপাতালের এক ডাক্তারকে বিশ্বাস করেছিলাম। ভেবেছিলাম সে বোধ হয় বন্ধু, তাকে জানিয়েছিলাম যে পড়ে গিয়েছিলাম ঘরে, এক্সরে করতে হবে। সেই বন্ধু আমাকে পাঠিয়ে দিল তার হাসপাতালের অর্থপেডিক ডাক্তারের কাছে যিনি হিপ রিপ্লেসমেন্টের এক্সপার্ট। সেই এক্সপার্ট শুরু থেকে আমার ফিমারের সামান্য ফ্র্যাকচারের ফিক্সেশান টিটমেন্ট না করে আমার হিপ রিপ্লেসমেন্ট করার জন্য উঠে পড়ে লাগলেন। আমি বাধা দিয়েছি। তিনি বারবার এসেছেন আমাকে কনভিন্স করতে। তিন চারজন ডাক্তারকে পাঠিয়েছেন কনভিন্স করতে।” তাঁর বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে তাঁর অনেক বড় ক্ষ*তি করে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা এই কথাই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন।

Previous articleযোগীরাজ্যের পর এবার ‘মামাজি’-র মধ্যপ্রদেশ! বিজেপিতে না এলে বাড়ি বুলডোজের হুঁশিয়ারি মন্ত্রীর
Next articleশিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে প্রশাসনিক নির্দেশিকা মানতে হবে: কড়া নির্দেশ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর