সুপ্রিম স্বস্তিতেও কাটছে না অস্বস্তি, বিদেশী তথ্যচিত্রে গুজরাট দা*ঙ্গায় প্রশ্নের মুখে মোদির ভূমিকা

গুজরাট দাঙ্গার ঘটনায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) ভূমিকা নিয়ে দেশে বারবার প্রশ্ন উঠেছিল। যদিও সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court) জানিয়ে দিয়েছে, ওই অশান্তির ঘটনায় নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) কোন ভূমিকা ছিল না। তবে সুপ্রিম স্বস্তিতেও অস্বস্তি কাটছে না প্রধানমন্ত্রী মোদি ও বিজেপির। সম্প্রতি ব্রিটেনের সংবাদ সংস্থা বিবিসি-র(BBC) তথ্যচিত্র ‘দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নিয়ে অস্বস্তি প্রবল আকার নিল। যদিও এই তথ্যচিত্র নিয়ে ক্ষুব্ধ বিজেপির দাবি গোটা বিষয়টি ষড়যন্ত্র। তবে বিবিসির স্পষ্ট বক্তব্য যথেষ্ট গবেষনা করে এই তথ্যচিত্র বানানো হয়েছে। সবমিলিয়ে ‘দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নিয়ে বিতর্ক চরম আকার ধারণ করেছে।

সম্প্রতি ব্রিটেনের সংবাদ সংস্থাটি তাদের একটি চ্যানেলে ওই তথ্যচিত্র সম্প্রচার করে। দু’দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন সাম্প্রদায়িক হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে সেই রাজ্যে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে ওই তথ্যচিত্রে। ওই তথ্যচিত্র ভারতে দেখা না গেলেও বিশ্বের অন্যত্র এবং সামাজিক মাধ্যমে(অংশ বিশেষ) দেখা যাচ্ছে। এদিকে এই তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ার পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন গতকালই। এদিকে বিজেপির দাবি, সামনে নটি রাজ্যে নির্বাচন তার ঠিক আগে এই তথ্যচিত্র আসলে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। দু’দশক আগের আগের একটি ঘটনাকে এভাবে তুলে ধরে বিতর্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। দেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ঔপনিবেশিক মানসিকতার উপর ভিত্তি করে ওই তথ্যচিত্রটি বানানো হয়েছে। ওই তথ্যচিত্র একটি অপপ্রচার।

সবমিলিয়ে গুজরাট দাঙ্গার প্রেক্ষিতে নির্মিত এই তথ্যচিত্র প্রসঙ্গে বিতর্ক চরম আকার ধারণ করার পর বিবৃতি দেওয়া হয়েছে বিবিসির তরফেও। বিবিসি মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিস্তারিত গবেষণার ভিত্তিতেই ওই তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন লোকের মতামত নেওয়া হয়েছে। বিজেপির লোকেরাও মতামত জানিয়েছেন। ভারত সরকারের মতামতও চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা এ বিষয়ে কথা বলতে চায়নি বলে বিবিসি দাবি করেছে। অন্য দিকে এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের টুইট করে জানিয়েছেন, “নরেন্দ্র মোদির সংখ্যালঘুদের প্রতি যে ঘৃণা, তা এক ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্র থেকেই স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।”