Saturday, August 23, 2025

‘দিদির দূত’ নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে,কুণালের নিশানায় পদ্ম

Date:

Share post:

বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ‘দিদির দূত’রা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন। মানুষের অভাব অভিযোগ শুনছেন।আবার কোনও কোনও জায়গায় তাদের ক্ষোভের মুখেও পরতে হচ্ছে।এ প্রসঙ্গে যে প্রচার হচ্ছে তা ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, অস্থিরতা ছড়াতে ‘দিদির দূত’দের নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন,   ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে ‘দিদির দূত’রা মানুষের কাছে যাচ্ছেন, তাদের সমস্যার কতা শুনছেন। প্রয়োজনে দলের অন্দরে রিপোর্ট করছেন। অনেক উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু তার মধ্যেও কিছু কিছু জায়গায় ফাঁক থেকে গেছে। কোথাও রাস্তা খারাপ আছে, কোথাও আলো নেই। সেই বিষয়ে মানুষ দিদির দুতদের সামনে পেয়ে তাদের নিজেদের কথা বলছেন। মানুষের অভাব অভিযোগ মানুষের ক্ষোভের কথা জানার জন্যই তো তৃণমূল নেত্রী এবং সেনাপতি ‘দিদির দূত’ পাঠাচ্ছেন মানুষের কাছে।

যেভাবে মানুষ আশীর্বাদ করছেন সেই অনুপাতে ক্ষোভের সংখ্যা খুবই কম। কুণালের স্পষ্ট কথা, আমরা এটাকে ক্ষোভ হিসেবে দেখছিই না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোথাও রাস্তা নিয়ে মানুষ যেমন ক্ষোভ দেখাচ্ছেন তেমন গতকালই হলদিয়ায় যখন বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি আমরা তখন কিন্তু মানুষ পুষ্পবৃষ্টি করেছেন। ‘দিদির দূত’দের ঢোকা বারণ এটা কোনও সাধারণ মানুষের কথা নয়। এটা নির্দিষ্টভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রচার করা। প্ররোচনা দেওয়ার জন্য এগুলো ‘রাজনৈতিক ভাষা’ বলে মন্তব্য করেন কুণাল। কোনও না কোনও দলের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কোনও না কোনওভাবে প্ররোচনার জন্য এই কথা প্রচার করছে। মানুষ ‘দিদির দূত’দের অত্যন্ত ভালোভাবে স্বাগত জানাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন কুণাল।

তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, একজন ‘দিদির দূত’ সারা দিনে বহু জায়গায় যাচ্ছেন। বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। কোন একটি রাস্তা খারাপ থাকলে অবশ্যই মানুষ বলবেন এবং এগুলো জানার জন্যই তো আমাদের যাওয়া। এতে দল এবং সরকার সমৃদ্ধ হচ্ছে। সেই জায়গাগুলিতে জরুরী ভিত্তিতে কাজ শুরু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোনও মানুষ যদি তার ক্ষোভের কথা বলে থাকেন, আমরা সেটাকে অত্যন্ত ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতেই দেখছি।

এরই পাশাপাশি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, যারা প্রকৃত বঞ্চিত হয়েছেন তাদের অবশ্যই দাবি জানানোর অধিকার আছে। তেমনি পাশাপাশি সেই প্রতিবাদ জানানোর একটা পদ্ধতি আছে। হঠাৎ করে যদি কেউ কোনও প্রশাসনিক জায়গায় অস্থিরতা তৈরি করে বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেন সেক্ষেত্রে তো পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নেবেই।

আইএসএফ বুধবার যে প্রতিবাদ মিছিল ডেকেছে, সেই প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, আইএসএফ ছিল বাম এবং কংগ্রেসের জোট সঙ্গী। এখন সেখানে গিয়ে জুটেছে বিজেপি। যে কোনও অশুভ শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপি চাইছে পরিস্থিতি অস্থির করতে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা ধর্মতলাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবরোধ করে রাখলেন, হাজার হাজার নিত্যযাত্রী সমস্যায় পড়লেন, পুলিশ বারবার অনুরোধ করার পরেও তারা সেখান থেকে সরলেন না। সেক্ষেত্রে পুলিশ তো অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। অবরোধ সরাতে গিয়ে পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে। অবরোধকারীদের একটা অংশ পুলিশকে আক্রমণ করেছেন।কুণালের সাফ কথা, এটা নিয়ে যারা সস্তা রাজনীতি করছেন তারা সাধারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন।

 

spot_img

Related articles

রাজ্যে শুরু SIR প্রস্তুতি: একাধিক পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের

গোটা দেশেই এসআইআর লাগু হবে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar)। বিহারে ৬৫ হাজার...

আস্থা কোথায়? প্রধানমন্ত্রীর সভার দিন বুঝিয়ে দিলেন দিলীপ, কটাক্ষ তৃণমূলের

দৃশ্য এক, বিজেপির নক্ষত্রখচিত মঞ্চ। মালা, উত্তরীয়তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) বরণ করছেন একের পর এক বঙ্গবিজেপির...

বাংলা বিদ্বেষীকে পাশে বসিয়ে বাঙালি প্রেম! মোদির দ্বিচারিতাকে ধুইয়ে দিল তৃণমূল

বাংলায় এলেই বাংলা ভাষায় বক্তৃতা। এ তো নরেন্দ্র মোদির রেওয়াজ হয়েছেই। সম্প্রতি তিনি উত্তর ভারতের গোবলয়ের দেব-দেবী ছেড়ে...

রায় বেরোনোর পরেই জয়েন্টের তালিকা প্রকাশ: বোর্ডের কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা হাই কোর্ট ওবিসি সংক্রান্ত যে জট দীর্ঘদিন ধরে পাকিয়ে রাখার চেষ্টা করে চলেছিল, শুক্রবার তা প্রতিহত হয়...