Sunday, November 9, 2025

‘দিদির দূত’ নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে,কুণালের নিশানায় পদ্ম

Date:

Share post:

বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ‘দিদির দূত’রা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন। মানুষের অভাব অভিযোগ শুনছেন।আবার কোনও কোনও জায়গায় তাদের ক্ষোভের মুখেও পরতে হচ্ছে।এ প্রসঙ্গে যে প্রচার হচ্ছে তা ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, অস্থিরতা ছড়াতে ‘দিদির দূত’দের নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন,   ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে ‘দিদির দূত’রা মানুষের কাছে যাচ্ছেন, তাদের সমস্যার কতা শুনছেন। প্রয়োজনে দলের অন্দরে রিপোর্ট করছেন। অনেক উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু তার মধ্যেও কিছু কিছু জায়গায় ফাঁক থেকে গেছে। কোথাও রাস্তা খারাপ আছে, কোথাও আলো নেই। সেই বিষয়ে মানুষ দিদির দুতদের সামনে পেয়ে তাদের নিজেদের কথা বলছেন। মানুষের অভাব অভিযোগ মানুষের ক্ষোভের কথা জানার জন্যই তো তৃণমূল নেত্রী এবং সেনাপতি ‘দিদির দূত’ পাঠাচ্ছেন মানুষের কাছে।

যেভাবে মানুষ আশীর্বাদ করছেন সেই অনুপাতে ক্ষোভের সংখ্যা খুবই কম। কুণালের স্পষ্ট কথা, আমরা এটাকে ক্ষোভ হিসেবে দেখছিই না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোথাও রাস্তা নিয়ে মানুষ যেমন ক্ষোভ দেখাচ্ছেন তেমন গতকালই হলদিয়ায় যখন বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি আমরা তখন কিন্তু মানুষ পুষ্পবৃষ্টি করেছেন। ‘দিদির দূত’দের ঢোকা বারণ এটা কোনও সাধারণ মানুষের কথা নয়। এটা নির্দিষ্টভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রচার করা। প্ররোচনা দেওয়ার জন্য এগুলো ‘রাজনৈতিক ভাষা’ বলে মন্তব্য করেন কুণাল। কোনও না কোনও দলের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কোনও না কোনওভাবে প্ররোচনার জন্য এই কথা প্রচার করছে। মানুষ ‘দিদির দূত’দের অত্যন্ত ভালোভাবে স্বাগত জানাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন কুণাল।

তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, একজন ‘দিদির দূত’ সারা দিনে বহু জায়গায় যাচ্ছেন। বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। কোন একটি রাস্তা খারাপ থাকলে অবশ্যই মানুষ বলবেন এবং এগুলো জানার জন্যই তো আমাদের যাওয়া। এতে দল এবং সরকার সমৃদ্ধ হচ্ছে। সেই জায়গাগুলিতে জরুরী ভিত্তিতে কাজ শুরু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোনও মানুষ যদি তার ক্ষোভের কথা বলে থাকেন, আমরা সেটাকে অত্যন্ত ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতেই দেখছি।

এরই পাশাপাশি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, যারা প্রকৃত বঞ্চিত হয়েছেন তাদের অবশ্যই দাবি জানানোর অধিকার আছে। তেমনি পাশাপাশি সেই প্রতিবাদ জানানোর একটা পদ্ধতি আছে। হঠাৎ করে যদি কেউ কোনও প্রশাসনিক জায়গায় অস্থিরতা তৈরি করে বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেন সেক্ষেত্রে তো পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নেবেই।

আইএসএফ বুধবার যে প্রতিবাদ মিছিল ডেকেছে, সেই প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, আইএসএফ ছিল বাম এবং কংগ্রেসের জোট সঙ্গী। এখন সেখানে গিয়ে জুটেছে বিজেপি। যে কোনও অশুভ শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপি চাইছে পরিস্থিতি অস্থির করতে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা ধর্মতলাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবরোধ করে রাখলেন, হাজার হাজার নিত্যযাত্রী সমস্যায় পড়লেন, পুলিশ বারবার অনুরোধ করার পরেও তারা সেখান থেকে সরলেন না। সেক্ষেত্রে পুলিশ তো অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। অবরোধ সরাতে গিয়ে পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে। অবরোধকারীদের একটা অংশ পুলিশকে আক্রমণ করেছেন।কুণালের সাফ কথা, এটা নিয়ে যারা সস্তা রাজনীতি করছেন তারা সাধারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন।

 

spot_img

Related articles

ফাইনাল ম্যাচে শাহরুখের মন্ত্রেই ছাত্রীদের তাতিয়ে ছিলেন? অকপট স্মৃতিদের কোচ

ভারতীয় মহিলা দল বিশ্বকাপ জেতার পরই চক দে ইন্ডিয়ার কবীর খান হয়ে উঠেছেন অমল মুজুমদার(Amol Muzumdar)। কী বলে...

এসআইআর আতঙ্কে মৃতদের পরিবারের পাশে তৃণমূল: রাজ্যজুড়ে শোকাহত পরিবারগুলির ঘরে দলের জনপ্রতিনিধিরা 

এসআইআর আতঙ্কে রাজ্যজুড়ে মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। কোথাও আত্মহত্যা, কোথাও আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু— ভয় ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম...

বাংলাভাষায় ১০ কোটিও খরচ নয়! বাঙালিবিদ্বেষী বিজেপির রবীন্দ্র-বঙ্কিম ভাগে তোপ গণমঞ্চের

বিজেপি আদতে বাঙালি বিদ্বেষী, তা সাম্প্রতিক সময়ে বারবার প্রত্যক্ষভাবে প্রমাণিত। সেই বিদ্বেষের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছে দেশ বাঁচাও...

১১ বলেই অর্ধশতরান! রঞ্জি ট্রফিতে বিশ্বরেকর্ড মেঘালয়ের ব্যাটারের

রঞ্জি ট্রফির( Ranji Trophy) ইতিহাসে বিশ্ব রেকর্ডে(World Record) তৈরি করলেন মেঘালয়ের ব্যাটসম্যান আশিষ কুমার চৌধুরী(Asis Kumar Chowdhury)। মোট...