Sunday, August 24, 2025

বয়স ৯০ পেরিয়েছে, বীরভূমের দিদির দূতের কাছে বৃদ্ধ নিজের পরিচয় দিতেই অবাক সকলে

Date:

Share post:

দিদির সুরক্ষা কবচ (Didir Suraksha Kawach) কর্মসূচিতে আচমকা মুখোমুখি দুই বিধায়ক। তবে একজন বর্তমান, অন্যজন প্রাক্তন। একজন ”দিদির দূত” বীরভূমের সিউড়ির তৃণমুল বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী (Bikash Roy Chowdhury), অন্যদিকে ১৯৭২ সালের বীরভূমের রাজনগরের কংগ্রেসের বিধায়ক দ্বিজপদ সাহা(Dwijpada Saha)। বীরভূমের রাজনগরের বেলেরা গ্রামে মুখোমুখি দুই বিধায়ক।

বীরভূমে “অঞ্চলে একদিন” কর্মসূচিতে সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার এবং রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় যথাক্রমে ভবানীপুর এবং ভারকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতে তাঁদের সারাদিনের কর্মসূচি সারেন। ঠিক তখনই ভবানীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মানুষের সঙ্গে দেখা করার সময় সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় দ্বিজপদ সাহা নামে এক বৃদ্ধের। দিদির দূত বিকাশবাবুকে দ্বিজপদ সাহা জানান, তিনি প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক। বয়স ৯০ ছাড়িয়েছে। কানে ভালো করে শুনতেও পারেন না। তবে প্রাক্তন বিধায়কের সমস্যার কথা মন দিয়ে শুনলেন বর্তমান বিধায়ক।

দ্বিজপদ সাহা পেশায় ছিলেন শিক্ষক। এছাড়াও ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সালের মধ্যে রাজনগরের কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন। তাঁর সমস্ত সমস্যা শোনার পর, বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী ব্লক-স্তরের নেতাদের একজনকে অবিলম্বে একটি চিঠি লিখে তাতে দ্বিজপদ্ম সাহার স্বাক্ষর নেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রাক্তন বিধায়ককে আশ্বস্ত করার সময় , বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী তাঁর কানের কাছে গিয়ে বলেন , “স্যার , আমি ওদের চিঠিটি প্রস্তুত করতে বলেছি। আপনাকে শুধু একটি স্বাক্ষর করতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে তা স্পিকারের কাছে পৌঁছে দেবো। এখন থেকে, যেখানে যা দরকার হবে সবাই ব্যক্তিগতভাবে আপনার বাড়িতে যাবে এবং সমস্ত নিয়ম সম্পন্ন করবে । আপনাকে কোথাও যেতে হবে না।”

দ্বিজপদ সাহা পরে সিউড়ি বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরীকে তাঁর ব্যস্ত সময়সূচি থেকে সময় বের করে , সমস্যাগুলির সমাধান করার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান । সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী বলেন , “এক সময় আমরাও কংগ্রেস করেছি । তখন আমরা ছাত্র যুবতে ছিলাম,এনাদের থেকে অনেক কিছু শিখেছি। তবে ৯৩ বছর বয়সে যে আমি ওনার দেখা পেয়েছি এটাই আমার খুব ভালো লাগছে । তবে ওনার একটা সমস্যা ছিলো সে কথা তিনি আমায় জানান। আমি চেষ্টা করছি যাতে সেই সমস্যার সমাধান করা যায় । উনি আমাদের অনেক আশীর্বাদ করলেন।”

প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক দ্বিজপদ সাহা বলেন , ” উনি আমার সমস্ত সমস্যা শোনেন এবং আমায় বলেন এগুলি লিখে ওনাকে পাঠাতে। তারপর ওনার যা ব্যবস্থা নেওয়ার উনি নেবেন।”

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...