এবার ইডি গ্রেফতার করল তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে

এবার জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে গ্রেফতার করা হয়। চারদিনে দুবার গ্রেফতারের পরে দুবারই জামিন পান তিনি।

এবার ইডি গ্রেফতার করল তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে। ক্রাউড ফান্ডিং-এর মাধ্যমে তোলা বিপুল পরিমাণ তছরুপের একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি।  একটি প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত সাকেত এখন গুজরাটের একটি জেলে রয়েছেন। সেই অবস্থাতেই তাঁকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

মোরবি সেতু বিপর্যয়ের পর নরেন্দ্র মোদির সফরের খরচ সংক্রান্ত একটি ট্যুইট করায়, সাইবার আইনে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করে গুজরাট পুলিশ। সেই মামলায় জামিন পান তিনি। তারপরে ফের তাঁকে  গ্রেফতার করে বিজেপি শাসিত গুজরাটের পুলিশ। এবার জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে গ্রেফতার করা হয়। চারদিনে দুবার গ্রেফতারের পরে দুবারই জামিন পান তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মোরবিতে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। শুধু তাই নয়, গ্রেফতারি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থও হয় তৃণমূল। দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে যায় তৃণমূলের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ভাঙা হয়েছে, এই অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানায় তৃণমূল।

ওই ঘটনার পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ‘মাত্র ৩ দিনের ব্যবধানে দু’বার সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করেছে গুজরাট পুলিশ। তাও আবার আদর্শ আচরণবিধি থাকার মধ্যেই। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করেছে। বিজেপির আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছে। নড়বড়ে অবস্থায় গণতন্ত্র।

জামিন পাওয়ার পরে ফের গ্রেফতার করা হয়েছিল সাকেত গোখেলকে। শিলংয়ে সাকেতকে মঞ্চে এনে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘নেতা হলে ধৈর্য্য থাকতে হয়, সহ্য করতে হয়।’ গোটা ঘটনায় গুজরাট পুলিশ ও দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে রাজ্য প্রশাসন। ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

বুধবারের গ্রেফতার প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, শুভেন্দুর  FIR-এ নাম আছে ,সে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সুদীপ্ত সেন চিঠি দিয়েছে, তার পরও গ্রেফতার করেনি। কিন্তু আমাদের জাতীয় মুখপাত্র বিজেপির মুখোশ খুলে দিয়েছে। তৃণমূলকে ভয় পেয়ে এজেন্সি দিয়ে গ্রেফতার করেছে। বিজেপির রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করছে এজেন্সি।

 

 

 

Previous articleতথ্যচিত্রের দ্বিতীয় পর্বেও মোদিকে তোপ BBC-র, এবার নীরবতা ভাঙল আমেরিকাও
Next article‘স্বেচ্ছামৃত্যু’ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত সুপ্রিমকোর্টের, যন্ত্রণামুক্তিতে কী কী বাধ্যতামূলক!