অমর্ত্য সেনকে বেনজির আক্রমণ দিলীপের! ‘জমি চোর’ মন্তব্যে নিন্দায় সরব তৃণমূল

তবে এদিন দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পালটা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর কথায়, এর আগেও তিনি বলেছিলেন অমর্ত্য সেন নোবেল পুরস্কার পাননি। হিসাবমতো ১৯৯৮ সালে তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন এবং ১৯৯৯ সালে তাঁকে ভারতরত্ন দেওয়া হয়েছে। তাঁর সম্পর্কে যে ধরণের কুরুচিকর মন্তব্য করলেন এটা তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও রুচির বহিঃপ্রকাশ।

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati) জমি দখলকে কেন্দ্র করে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর (VC Bidyut Chakraborty) নিশানায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন (Amartya Sen)। আর এই ইস্যুতেই সরব বাংলার রাজনৈতিক মহল। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। এবার অর্মত্য সেনকে ‘জমি চোর’ বলে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির অভিযোগ, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রেখেছেন। তবুও বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে তিনি চোখ রাঙাচ্ছেন। তবে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের জবাব, বিতর্কিত মন্তব্য করে রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক থাকার চেষ্টা করছেন দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ‘পাগলের প্রলাপ’ বকছেন। সূত্রের খবর, বীরভূম সফরে অর্মত্য সেনের বাড়ি প্রতীচীতে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আগামী ৩০ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমে পা রাখবেন। ৩০ তারিখ বিকেলে বোলপুরে আসার পর বীরভূমে থাকবেন তিনি এবং ৩১তারিখ যাবেন মালদহে। সেখান থেকে ফিরে এসে ১ ফেব্রুয়ারি বোলপুরে একটি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা প্রদান অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন এবং তারপর ২ ফেব্রুয়ারি তিনি বর্ধমান যাবেন।

বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি কটাক্ষের সুরে বলেন, দিদিকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে, মোদি হটাও দেশ বাঁচাও যাঁরা বলেছিলেন, তাঁরাই এখন সরে গিয়েছেন। এখন অমর্ত্য সেনের সার্টিফিকেট নিতে হচ্ছে। যে লোকটাকে কেউ মানেই না। কেউ পোঁছেও না। তবে এখানেই থামেননি দিলীপ। তাঁর দাবি, অর্মত্য সেন বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রয়েছেন।

তবে এদিন দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পালটা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন (Shantanu Sen)। তাঁর কথায়, এর আগেও তিনি বলেছিলেন অমর্ত্য সেন নোবেল পুরস্কার পাননি। হিসাবমতো ১৯৯৮ সালে তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন এবং ১৯৯৯ সালে তাঁকে ভারতরত্ন দেওয়া হয়েছে। তাঁর সম্পর্কে যে ধরণের কুরুচিকর মন্তব্য করলেন এটা তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও রুচির বহিঃপ্রকাশ। এসব বিতর্কিত মন্তব্য করে রাজনীতিতে ভেসে থাকার চেষ্টা। তবে অমর্ত্য সেনকে যারা মুছে ফেলার চেষ্টা করবেন তারা নিজেরাই ইতিহাস থেকে মুছে যাবে।

উল্লেখ্য, শান্তিনিকেতনে জমি নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নোবেলজয়ীর মতান্তর শুরু হয়েছে। বিশ্বভারতীর উপাচার্য অভিযোগ তুলেছেন, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রেখেছেন। অমর্ত্য সেনের পাল্টা অভিযোগ, তিনি যদি গিয়ে বিশ্বভারতীতে ঢুকে বলেন এটা আমার সম্পত্তি তাহলে কী তাঁর হয়ে যাবে?

 

 

Previous articleআজ কিউইদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম‍্যাচে নামছে ভারত, সিরিজে সমতা ফেরানো লক্ষ‍্য হার্দিকের
Next article‘ওরা যেন ভয়ডরহীনভাবে ক্রিকেট খেলে’, টিম ইন্ডিয়াকে পরামর্শ মহারাজের