অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা ক্রিকেটে ভারতের বিশ্বজয়ে দিনের সেরা চুঁচুড়ার সোনার মেয়ে তিতাস

অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপে জয়ী ভারত। ফাইনালে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন ফাস্ট বোলার তিতাস সাঁধু। অথচ হুগলির চুঁচুড়ার মেয়ের ক্রিকেট খেলার কথাই নয়। সব কিছু ঠিকঠাক চললে তিতাস হয়তো সাঁতারু হতেন বা স্প্রিন্টার।

আসলে তিতাসের বেড়ে ওঠা পারিবারিক খেলাধূলার পরিবেশের মধ্য দিয়ে। বাবা রণদীপ সাধু ছিলেন রাজ্যস্তরের অ্যাথলিট। খেলার জগতে তিতাসের শুরুটা ছিল স্প্রিন্টার হিসাবে। দৌড়ে নজর কাড়েন অল্পদিনের মধ্যেই। পরে সাঁতার শুরু করেন। এমনকী, টেবিল টেনিসও খেলেছেন। হুগলির মহসিন কলেজের কাছে রাজেন্দ্র স্মৃতি সংঘে ক্রিকেটের সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয়।শুধুমাত্র খেলাতেই নয়, পড়াশোনাতে যথেষ্ট চৌখস। মাধ্যমিকে ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন।
ফাইনালে ৪ ওভার বল করে মাত্র ৬রান দিয়ে দু-দু’টি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের সেরা হয় চুঁচুড়ার তিতাস। ছোটবেলা থেকে চুঁচুড়া ময়দানেই প্রশিক্ষণ নিতো তিতাস। ফাইনালের দিন চুঁচুড়ায় তিতাসের পরিবারের লোকেরা মোবাইলেই খেলা দেখছিলেন। জেতার পর উচ্ছ্ব্বাসে ফেটে পড়েন তাঁরা।তিতাসের মা ভ্রমর সাঁধু বলেন, মেয়ের সাফল্যে ভাল তো লাগবেই। তবে ওর এখনও অনেক দূর যাওয়া বাকি আছে। তিতাসের বাবা রণদীপ বলছেন, ‘গত ২ বছর পরীক্ষা দিতেই পারছে না। সময়ই পাচ্ছে না। বিশেষ সুবিধা না দিলে ও কবে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিতে পারবে বুঝতে পারছি না।’

ক্রিকেট খেলার শুরুটাও হঠাৎই। ক্লাবের দলে নেট বোলার কম পড়েছিল। তিতাসকে দিয়ে বোলিং করানো হয়। সেই শুরু। একটা সময় বাংলা দলে তিতাসকে কোচিং করিয়েছেন শিবশঙ্কর পাল। শৈশবের কোচ প্রিয়ঙ্কর মুখোপাধ্যায় তিতাসকে নিয়ে এসেছিলেন বাংলা ক্রিকেটের ম্যাকো-র কাছে। শিবশঙ্কর জানিয়েছেন, খুব প্রতিভাবান। সুন্দর চেহারা। পেস বোলিংয়ের জন্য আদর্শ। বল স্যুইং করাতে পারত।ওর ব্যাটের হাতও খুব ভাল। বড় ছক্কা মারতে জুড়ি মেলা ভার।
তিতাসের শৈশবের কোচ প্রিয়ঙ্কর বলেছেন, ও ভীষণ পরিশ্রমী। পড়াশোনা আর খেলা দুটোই সামলাতে পারে। ছোটবেলায় স্প্রিন্টার ছিল বলে ভীষণ ফিট। প্রত্যেক সপ্তাহে ২২ কিলোমিটার দৌড়য়। আমরা জানতাম ও সফল হবেই আর সেটা করে দেখাল।’

 

Previous articleবীরভূমে নতুন দুটি থানা! মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleরাজনৈতিক লোকেরা কি বই লিখতে পারেন না? নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর, ৬টি নতুন বই প্রকাশ মমতার