মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস(Congress)। তবে প্রার্থী পদের মোহ কাটিয়ে তৃণমূলে(TMC) যোগ দিলেন মেঘালয়(Meghalaya) প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সহ-সভাপতি এবং দাদেংগরে বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অগাস্টিন ডি মারাক(Agastin D Marak)। মঙ্গলবার রাতে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন তিনি। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয় মেঘরাজ্যে ঘাসফুল ফোটাতে দলের হয়ে প্রচার করবেন তিনি। বলার অপেক্ষা রাখে না নির্বাচনের ঠিক আহে অগাস্টিনের তৃণমূল যোগ কংগ্রেস শিবিরের কাছে বড় ধাক্কা।
৬০ আসন বিশিষ্ট মেঘালয় বিধানসভায় প্রথম পর্যায়ে ৫৫ টি আসনের প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। সেই প্রার্থী তালিকায় নাম ছিল অগাস্টিনের। এরপরই গত সোমবার কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন আগাস্টিন। সে দিন অগাস্টিন কিছু না জানালেও পরের দিন রাতে জোড়া ফুলের পতাকা হাতে নিয়ে তৃণমূলে নাম লেখান। তাঁর সঙ্গে তাঁর অনুগামী-সহ ২০০ জন তৃণমূলে যোগ দেন। দলবদল করলেও এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে আর ভোটে দাঁড়াবেন না তিনি, সেই ঘোষণাও করে দিয়েছেন। মেঘালয় জুড়ে তৃণমূলের হয়ে ভোটের প্রচার করতে চান অগাস্টিন। কংগ্রেস ছাড়ার প্রসঙ্গে অগাস্টিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, “কংগ্রেস লড়াই করার ন্যূনতম শক্তি হারিয়েছে। বিজেপিকে পরাস্ত করতে গেলে তৃণমূলই যথার্থ শক্তি। তাই বিজেপির সঙ্গে লড়াই করতে দল বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দাদেংগরে বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা ব্লক সভাপতি রুপা মারাকের হয়ে প্রচার করবেন।
উল্লেখ্য, মেঘালয়ের রাজনীতিতে বড় নাম অগাস্টিন। তিনবারের বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি, একবার মন্ত্রী হয়েছিলেন মেঘালয় সরকারের। খাদ্য ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের দায়িত্ব সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ১৯৯৩, ১৯৯৮ এবং ২০০৮ সালে মেঘালয় বিধানসভার সদস্য হয়েছিলেন তিনি। মেঘালয়ের রাজনীতিতে একাধিকবার দলবদলের ইতিহাস রয়েছে এই রাজনীতিবিদের। ২০১৩ সালে তিনি ভোটে লড়াই করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির টিকিটে। সে বার তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন রাকসমাগরে বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। আবার ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি লড়েছিলেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)-র হয়ে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে এ বার তিনি কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু প্রার্থী হয়েও শেষ পর্যন্ত দলবদল করে তৃণমূলে এলেন অগাস্টিন।