সস্তায় রাজনৈতিক চিরকুট! রবীন্দ্রনাথ নয়, মোদির মার্গ দর্শনেই চলছে বিশ্বভারতী: কুণাল ঘোষ

মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে এই রাজ্যের-ই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এহেন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, "বিশ্বভারতী থেকে যে প্রেস রিলিজ দেওয়া হয়েছে সেখানে কবিগুরুর মার্গ দর্শনে ছিল না, ছিল প্রধানমন্ত্রীর মার্গ দর্শন

বিশ্বভারতী ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আজ, বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে কুণালের নিশানায় ছিল কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি, একইসঙ্গে উপাচার্য বিদ্যুত চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে এই রাজ্যের-ই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এহেন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “বিশ্বভারতী থেকে যে প্রেস রিলিজ দেওয়া হয়েছে সেখানে কবিগুরুর মার্গ দর্শনে ছিল না, ছিল প্রধানমন্ত্রীর মার্গ দর্শন। বিজেপির আখড়া থেকে আসা একটি চিরকুট। সস্তা রাজনৈতিক চিরকুট। কবিগুরুর বিশ্বভারতী নোবেল জয়ী বাংলার গৌরব অমর্ত্য সেনকে অপমান করছেন। বাংলার তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করবেন, এটা হতে পারে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। সেখানে শালীনতা, সৌজন্যতা থাকবে না সেটাই স্বাভাবিক। সস্তা রাজনৈতিক চিরকুটে ওই সব লেখা থাকে। আসলে নিজের গরিমা বিশ্বভারতী নষ্ট করেছে। সেখানে কিছু বিতর্ক উপাচার্য আসার পরে তৈরি হয়েছে। তিনি নোবেলজয়ীকে অপমান করছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করছেন সেই জায়গায়। সীমা লঙ্ঘিত করছেন। এটা কাম্য নয়।”

কুণাল ঘোষ আরও বলেন, “সস্তায় বাজিমাত করতে রাজনৈতিক চিরকুট লেখা হয়েছে। আমরা বা সারা বিশ্ব যে বিশ্বভারতীকে চেনে সেখানে এটা মানতে কষ্ট হচ্ছে। আসলে বিশ্বভারতী নিজের গরিমা নষ্ট করছে। বিশ্বভারতী দলে চলবে না। তার একটা নিজের ঐতিহ্য আছে। সস্তা ভাষায় ব্যক্তি আক্রমণ হলে সেটা রাজনীতি হয়।”

প্রসঙ্গত, বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই বিজ্ঞপ্তি রীতিমতো ঝড় তুলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এবার তা নিয়েই নিজেদের মতামত প্রকাশ্যে আনল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের শাসকদলের তরফ থেকে এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলা হয়, রবীন্দ্রনাথের বদলে বিশ্বভারতী অন্যের মার্গদর্শনে চলছে, তার ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে এখানে। এর থেকে বড় গৈরিকীকরণ আর কী হতে পারে!

রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গৈরিকীকরণের প্রয়াস নিয়ে কুণাল ঘোষ আরও বলেছেন, বিশ্বকবির স্মৃতি বিজড়িত গৌরবের জায়গায় বসে যেখানে নোবেলজয়ী বাংলার গর্ব অমর্ত্য সেনকে অপমান করা হচ্ছে, আবার কখনও সেখান থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুৎসিত ভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে । এটা আর যাই হোক রবীন্দ্র সংস্কৃতি হতে পারে না । এটাই হল রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গৈরিকীকরণের প্রয়াস। তাই বিশ্বভারতী তাদের গরিমা থেকে বিচ্যুত হলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ক্ষতি হয়নি। যে বিশ্বভারতীকে সারা বিশ্ব চেনে, তারা কুৎসা, মিথ্যাচার করেছেন প্রেস রিলিজ নামক রাজনৈতিক চিরকুট প্রকাশে।

আরও পড়ুন:বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী- জিটিএ প্রধানের বৈঠক ঘিরে বাড়ছে জল্পনা !


 

Previous articleবিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী- জিটিএ প্রধানের বৈঠক ঘিরে বাড়ছে জল্পনা !
Next articleআগামিকাল ইস্টবেঙ্গলের সামনে কেরল, ম্যাচের আগে ফের তোপ স্টিফেনের