বিশ্বভারতীর ন্য*ক্কারজনক বিবৃতিতে কড়া নিন্দা শিক্ষাবিদ থেকে রাজনৈতিকমহলের

ন্যক্কারজনক। বুধবার বিশ্বভারতীর আক্রমণ আরও নিম্নগামী। মুখ্যমন্ত্রীকে যে ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে প্রেস বিবৃতিতে, তাতে আসল উদ্দেশ্য পরিষ্কার। যার মূলে রয়েছে রাজনীতি। রবীন্দ্রনাথের স্বপ্নের বিশ্বভারতীতে দাঁড়িয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বলছে তারা ‘প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলে’। বোঝাই যায় বিশ্বভারতীকেও আখড়া বানাতে চাইছে বিজেপি। ফলে বিশ্বভারতীর এই নোংরা প্রেস বিবৃতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক ক্ষোভ এবং তীব্র সমালোচনা। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী এই সব নিয়েই চিঠি দেবেন প্রধানমন্ত্রীকে। বুধবার বোলপুরের প্রশাসনিক জনসভায় দাঁড়িয়ে বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, বাংলার ও দেশের গর্বের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে গৈরিকীকরণের অপচেষ্টা চলছে। এর বিরুদ্ধেও তিনি যে রুখে দাঁড়াবেন, সেকথা জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রী, আশ্রমিক, কর্মচারি-কেউ ভাল নেই, প্রত্যেকেই কোনও-না-কোনও ভাবে অবহেলিত, অপমানিত।এরপরই বিশ্বভারতীর কুরুচিকর বিবৃতি।

আরও পড়ুন:অমর্ত্যর জমি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নথি “অপ্রাসঙ্গিক” দাবি বিশ্বভারতীর উপাচার্যর, পাল্টা জবাব কুণালের

বিশ্বভারতীর বিবৃতি প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে একটি টুইটে বলেন, “বিশ্বভারতীর প্রেস রিলিজে যখন ‘কবিগুরুর মার্গদর্শনে চলি’ না বলে ‘প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলি’ বলা হয়, বোঝাই যায়, এটি বিজেপির আখঢ়ায় তৈরি একটি রাজনৈতিক চিরকুট। এতে ভারসাম্য, বাস্তব, শালীনতা, রুচি থাকবে না, সেটাই স্বাভাবিক।“


অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে সরব বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য সবুজকলি সেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, বিশ্বভারতীর এ ধরণের বিবৃতি অত্যন্ত কুরুচির ।বিশ্ববিদ্যালয় কোনও ব্যক্তি বা মন্ত্রীর মার্গ দর্শনে চলে না। একজন ব্যক্তি বিশ্বভারতীর মান যে কাথায় নামিয়ে আনছেন, তা ভাবতে লজ্জা হয় আমাদের।


 

 

Previous articleতাঁদের মধ্যে কীসের সম্পর্ক? বিশ্ববাংলা সংবাদে অকপট জবাব শোভন-বৈশাখী
Next articleনবগ্রামের গু*লিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর মৃ*ত্যু