দলের জেলা সভাপতির স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছেন সৌমিত্র! বি*স্ফোরক সুজাতা

স্বামী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন জানতে পারায় সুজাতার উপর অত্যাচারের মাত্রা সীমা ছাড়ায়। পাল্টা সৌমিত্রর বলছেন, "জীবন থেমে থাকে না"।

ফের সৌমিত্র খাঁ নিয়ে বিস্ফোরক সুজাতা মণ্ডল। সুজাতার দাবি, সৌমিত্র সঙ্গে সম্পর্ক নষ্টের মূলে অন্য এক নারী। বাঁকুড়া জেলা আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন সুজাতা মণ্ডল। ওই মহিলার সঙ্গে সৌমিত্রর অবৈধ সম্পর্কের কথা জেনে ফেলতেই তাঁর উপর নেমে আসে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার। সম্পর্কের মধ্যে সেই ফাটলের জেরেই বিবাহবিচ্ছেদের মামলা উঠেছে আদালতে।

সুজাতার দাবি, স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে তৃতীয় নারীর প্রবেশ কোনও স্ত্রী মেনে নিতে পারে না। বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর অত্যাচার শুরু করে স্বামী এমনটাই অভিযোগ সুজাতার। স্বামী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন জানতে পারায় অত্যাচারের মাত্রা সীমা ছাড়ায়। পাল্টা সৌমিত্রর বলছেন, “জীবন থেমে থাকে না”।

কোন মহিলার সঙ্গে সৌমিত্র খাঁ-এর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে এবার সেটাও সামনে আনলেন সুজাতা। তাঁর কথায়,
“আমি থাকতে থাকতেই আমার স্বামী অন্য নারীকে নিয়ে ঘর বাঁধা শুরু করেছে। আমি যখন দল ছেড়েছিলাম তখন ওর গ্লিসারিন দেওয়া কান্নায় অনেকেই ভুল ভেবেছিলেন। সেদিন আমি সব সহ্য করেছিলাম কারণ আমি বুঝেছিলাম আমাকে বাঁচতে হবে। আপনাদের সবাই আশীর্বাদে আমি বেঁচে রয়েছি। আর আমি বাঁচলেই লড়াই করতে পারব। আমি থাকতে থাকতেই অন্য এক নারীকে তিনি জীবনে জায়গা দিয়েছেন। যার জন্যই উনি ডিভোর্সের আবেদন করেছিলেন। আমি সেদিন ভেবেছিলাম উপরওয়াল এর বিচার করবে। ওঁর পরিবারের অত্যাচার বহু বছর সহ্য করেছি। তাঁর দিদির বিয়ের আগে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়ার আমার উপরে অকথ্য নির্যাতন শুরু হয়। ভেবেছিলাম স্বামীর জন্য সবকিছুই সহ্য করা করা যায়। সেভাবেই ছিলাম। কিন্তু তিনি অনেকদিন আগে থেকেই অন্য এক নারীকে নিজের জীবনে স্থান দিয়ে রেখেছিলেন। তিনি হলেন শিলিগুড়ির বিজেপির জেলা সভাপতির স্ত্রীর সঙ্গে তিনি সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।”

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই বড়জোড়ার বাসিন্দা সুজাতা মন্ডলকে বিয়ে করেন বিষ্ণুপুরের তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে সৌমিত্র বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৯ সালে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রচারে নামতে পারেননি। সেই সময় সুজাতা স্বামীর হয়ে প্রচারে নামেন। ২০১৯ সালে সুজাতার কাঁধে ভর করেই নির্বাচনী বৈতরনী পার করেন সৌমিত্র। নির্বাচনে জয়ের পরই ধীরে ধীরে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। ২০২০ সালে দুজনে আলাদা থাকতে শুরু করেন। এরপর সৌমিত্র সুজাতার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা গড়ায় আদালতে।

Previous articleকনভয়-অটো মুখোমুখি সং*ঘর্ষ, রামপুরহাট যাওয়ার পথে বরাতজোরে রক্ষা পেলেন বাবুল
Next articleকাশির সিরাপের পর এবার আই ড্রপ! ভারতের তৈরি ওষুধে মার্কিন নাগরিকের মৃ*ত্যু, অসুস্থ বহু