মানিক-কুন্তলের যোগসাজশে OMR শিটে ‘গু*প্ত সঙ্কেত’! আদালতে দাবি ইডির

তাকে সাহায্য করতেন হুগলির যুবনেতা কুন্তল ঘোষ।এই কাজ যাতে মসৃণভাবে হয় সেজন্য কাজে লাগানো হয়েছিল বিশেষ কিছু এজেন্টদেরও।

ফের অদালতে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ করল ইডি। বুধবার ইডি দাবি করেছে,প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’ ব্যবহার করে চলত দুর্নীতি! আর এই পুরো বিষয়টির মূল কারিগর ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। তার নজরদারিতেই চলত এই পুকুর চুরি।তাকে সাহায্য করতেন হুগলির যুবনেতা কুন্তল ঘোষ।এই কাজ যাতে মসৃণভাবে হয় সেজন্য কাজে লাগানো হয়েছিল বিশেষ কিছু এজেন্টদেরও।

বুধবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে ব্যাঙ্কশাল আদালতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানান, পরীক্ষার ওএমআর শিটে দুর্নীতি করতে ব্যবহার করা হত বিশেষ ‘গুপ্ত সঙ্কেত’। তদন্ত করার সময় ইডি আধিকারিকদের হাতে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।তার দাবি, ওএমআর শিটে অনেকগুলি উত্তরের মধ্যে সঠিক উত্তর বাছার জন্য যে গোল জায়গাগুলি থাকত সেখানেই এই ‘গুপ্ত সঙ্কেতের’ ব্যবহার হত। নির্দিষ্ট দু’টি প্রশ্নের জন্য ওএমআর শিটে গোল শূন্যস্থান পূরণ করার নির্দেশ দেওয়া হত। ফাঁকা রেখে দেওয়া হত বাকি উত্তরপত্র। আর ওই দু’টি প্রশ্নের উত্তর দেখেই চাকরি দেওয়া হত অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের।

ইডির আইনজীবী আরও জানান, ২০১২ এবং ২০১৪ সালে এই ভাবেই নিয়োগ হয়েছিল বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা মনে করছেন।বর্তমানে স্কুল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযু্ক্ত মানিক এবং কুন্তল দু’জনেই জেল হেফাজতে রয়েছেন।

Previous articleদু’দিন নিখোঁজ থাকার পর ভূমিকম্পে মৃ*ত তুরস্কের ফুটবলার
Next articleসংসদে মহুয়ার বিরুদ্ধে “অসংসদীয়” মন্তব্যের অভিযোগ, পাল্টা জবাব তৃণমূল সাংসদের