ভূমিকম্পে ভৌগোলিক অবস্থান বদল তুরস্কের! চিন্তায় ভূবিজ্ঞানীরা

ইটালির ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কার্লো ডগলিয়োনি (Earthquake expert Professor Carlo Daglioni) বলছেন আগামী দিনে উপগ্রহ চিত্রের (satellite imagery) মাধ্যমে এই ছবিটি আরও স্পষ্ট হবে।

ভূমিকম্পের (Earthquake) জেরে প্রায় ২০ ফুট পশ্চিমে সরে গেল তুরস্ক (Turkey)। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে অ্যানাটোলীয় এবং আরবীয় টেকটনিক প্লেটের (Anatolian and Arabian tectonic plates) মধ্যে ২২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যুতিরেখা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলেই অবস্থান বদল হয়েছে তুরস্কের। ইটালির ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কার্লো ডগলিয়োনি (Earthquake expert Professor Carlo Daglioni) বলছেন আগামী দিনে উপগ্রহ চিত্রের (satellite imagery) মাধ্যমে এই ছবিটি আরও স্পষ্ট হবে।

ভূমিকম্পের যে তীব্রতা ছিল তুরস্কে, তার জেরে মাটির নিচে বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তন ঘটা খুব স্বাভাবিক বলেই মত ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্রাকচারাল জিওলজির অধ্যাপক বব হোল্ডসওয়ার্থের। তিনি বলছেন, রিখটার স্কেলে ৬.৫ থেকে ৬.৯ তীব্রতার ভূমিকম্পের ফলে এক মিটার মতো প্লেটগুলি সরে যায়। তবে তার থেকে বড় মাপের কোনও কম্পনে ১০-১৫ মিটার সরে যেতে পারে প্লেটগুলি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন তুরস্কে যে কম্পন অনুভূত হয়েছে রিখটার স্কেলে তার তীব্রতার মাপ ছিল ৭.৮।ভূবিজ্ঞানীদের বিষয়টি ব্যাখ্যা করে জানান, টেকটনিক প্লেটগুলি যেখানে একে অন্যের সঙ্গে মিশে যায় সেই চ্যুতিরেখায় কোনও সংঘর্ষের ফলে বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়। কিন্তু প্লেটের মাঝ বরাবর দোলাচল সৃষ্টি হওয়ার অর্থ দাঁড়ায় মাঝারি এবং হালকা ধরনের ভূমিকম্প । তুরস্কের ভৌগোলিক অবস্থান বলছে যে এই দেশ তিনটি টেকটনিক প্লেটের মাঝবরাবর রয়েছে। তুরস্কের বেশির ভাগটাই রয়েছে অ্যানাটোলীয় প্লেটের উপর। এর উত্তরে রয়েছে ইউরেশীয় প্লেট, দক্ষিণে আফ্রিকা এবং পূর্বে আরবীয় প্লেট। ফলে ভৌগোলিক কারণেই পূর্ব অ্যানাটোলীয় এবং উত্তর অ্যানাটোলীয় নামের দু’টি বড় চ্যুতিরেখা সৃষ্টি হয়েছে। এইগুলো অত্যন্ত কম্পনপ্রবণ। গত সোমবার তুরস্কে যে ভূমিকম্প হয়েছিল সেটি হয়েছিল পূর্ব অ্যানাটোলীয় চ্যুতিরেখার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে । প্রথম কম্পনটির কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮ কিলোমিটার গভীরে এবং দ্বিতীয়টি ১০ কিলোমিটার গভীরে বলেই জানা যায়। দেশটি ২০ ফুট পশ্চিমে সরে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হলেও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার ওপর বিজ্ঞানসম্মত সিলমোহর পড়েনি।

 

Previous articleদুর্নীতি মানল এসএসসি,চাকরি যাচ্ছে ৮০০-র বেশি শিক্ষকের
Next articleআদানি মামলা শুনতে রাজি সুপ্রিমকোর্ট, শুক্রবার শুনানি