মোদি জমানায় সর্বোচ্চ দেশ ছাড়ার হিড়িক! ১২ বছরে নাগরিকত্ব ছেড়েছেন ১৬ লক্ষ ভারতীয়

মোদি জমানায় দেশ ছাড়ার হিড়িক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছর ২০২২ সালে ভারতের নাগরিকত্ব ছেড়েছিলেন ২.২৫ লক্ষ মানুষ। এবার কেন্দ্রের তরফে তথ্য পেশ করে জানানো হল, গত ১২ বছরে ভারতের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন ১৬ লক্ষের বেশি ভারতীয়। এর মধ্যে ২০১৪ সাল থেকে অর্থাৎ মোদি জমানায় সর্বোচ্চ দেশ ছাড়ার হিড়িক। কিন্তু কেন এত সংখ্যক মানুষ দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন? তার কোনও উত্তর নেই সরকারের কাছে।

ভারতীয়দের নাগরিকত্ব ছাড়ার বিষয়ে রাজ্যসভায় কেন্দ্রের কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন এক বিরোধী সাংসদ। তার উত্তরে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, ২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশ ছেড়েছেন ১৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪৪০ জন ভারতীয়। কেবলমাত্র ২০২২ সালেই এই সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ২৫ হাজার ৬২০। এখন পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ। তবে, এই সংখ্যাটা ২০২০ সালে সবচেয়ে কম। সেই সময় দেশত্যাগ করেছিলেন ৮৫ হাজার ২৫৬ জন ভারতীয়। ২০১১ সালে নাগরিকত্ব ছেড়েছিলেন ১ লক্ষ ২২ হাজার ৮১৯ জন ভারতীয়। ২০১৪ সালে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৩২৮ জন ভারতীয় দেশ ছাড়ে। এরপর থেকেই উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে সংখ্যাটা। ২০২০ সালে করোনা ও লকডাউনের জেরে সংখ্যাটা কমলেও ২০২১ সালে মোট ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৩৭০ জন ভারতীয় নাগরিকত্ব ছেড়ে দেন। সরকারি রিপোর্টে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব ত্যাগী ভারতীয়রা ১৩৫টি দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

ভারতীয়দের ব্যাপকভাবে দেশত্যাগের ঘটনায় মোদি সরকারের জনবিরোধী নীতির পাশাপাশি দেশে অসাম্প্রদায়িক পরিবেশকে দায়ি করছেন বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, দেশে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক জনবিরোধী নীতির জেরে দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন সঙ্খ্যালঘুরা। শিল্পপতিদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নীতিতে মাঝারি ব্যবসায়ীদের উপর চাপ বাড়ানো হয়েছে। যার ফলে এই সরকারের আমলে বহু মাঝারি ব্যাবসায়ী ভারত ছেড়ে অন্যত্র আস্থানা খুঁজেছেন। সব মিলিয়ে মোদি সরকারের আমলে ভারত ছাড়ার হিড়িক বেড়েছে ব্যাপকভাবে।

Previous article‘মধ্যরাতের কাহিনী’তেই লুকিয়ে সৌমিত্রর চরিত্র, এবার ফোঁ*স সুজাতার !
Next articleকোনও চাকরিপ্রার্থী দালালের ফাঁদে পা দিলে,তার দায় পর্ষদের নয় : ব্রাত্য বসু