কোনও চাকরিপ্রার্থী দালালের ফাঁদে পা দিলে,তার দায় পর্ষদের নয় : ব্রাত্য বসু

দালাল যতটা দায়ী, প্রার্থীও ততটাই দায়ী।তাঁর পরামর্শ, কোনও চাকরিপ্রার্থী দালালের ফাঁদে পা দেবেন না। শুধুমাত্র মেধা, শ্রম, যোগ্যতা ও পর্ষদের স্বচ্ছতার উপর নির্ভর করুন।

আজ  শুক্রবার প্রাথমিক টেটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। এরপর ঘণ্টাখানেক পরেই বিকাশভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবারের টেটের ওএমআর শিট পর্ষদের পাশাপাশি পরীক্ষার্থীর কাছেও রয়েছে। ওই ওএমআর শিট যদি কোনও পরীক্ষার্থী দালালকে দেয়, তার দায় পর্ষদের নয়। তেমন হলে দালাল যতটা দায়ী, প্রার্থীও ততটাই দায়ী।তাঁর পরামর্শ, কোনও চাকরিপ্রার্থী দালালের ফাঁদে পা দেবেন না। শুধুমাত্র মেধা, শ্রম, যোগ্যতা ও পর্ষদের স্বচ্ছতার উপর নির্ভর করুন।

শিক্ষামন্ত্রী আরও  বলেন, বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীদের ভরসা দিতে পর্ষদ যুগান্তকারী একাধিক পরিবর্তন এনেছে।নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে সচেষ্ট রাজ্য সরকার।এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, পরীক্ষার্থীদের যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ প্রাথমিক পর্ষদের এক নতুন ভাবনা। স্বচ্ছতা অর্জনের ক্ষেত্রে রাজ্যের এক অন্যতম প্রচেষ্টা। পর্ষদ শুধুমাত্র ওএমআরশিটের আসল কপিটি নিজেদের কাছে রেখেছিল। এটাও একটা রাজ্যে শিক্ষা পদ্ধতিতে বেনজির পদক্ষেপ।’

এরই পাশাপাশি,  নিয়োগ-দুর্নীতিতে বড়সড় জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে। সিবিআই সূত্রে দাবি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে নাম দেখিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা নিতেন কুন্তল। টাকা নিয়ে পর্ষদের ওয়েবসাইটে উত্তীর্ণ দেখানোর পরে উধাও হয়ে যেত সেই চাকরিপ্রার্থীদের নাম।কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব হত, তারই উত্তর খুঁজছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।

প্রসঙ্গত, ফলপ্রকাশের পর ওয়েবসাইটে জানা যাচ্ছে ৬ লক্ষ ২০ হাজার পরীক্ষার্থীর ফলাফল। টেটে প্রথম হয়েছেন বর্ধমানের ইনা সিংহ। দ্বিতীয় হয়েছেন চারজন দ্বিতীয় হয়েছেন মৌনিশা কুণ্ডু, মেঘনা চক্রবর্তী, দীপিকা রায়, অদিতি বসুরায়। এক থেকে দশের মধ্যে রয়েছেন ১৭৭ জন।

 

 

 

 

Previous articleমোদি জমানায় সর্বোচ্চ দেশ ছাড়ার হিড়িক! ১২ বছরে নাগরিকত্ব ছেড়েছেন ১৬ লক্ষ ভারতীয়
Next articleশহরে ফের টাকার পাহাড় ! বড়বাজার থেকে ৩৫ লক্ষ উদ্ধার পুলিশের