মোদি সরকারের ভুল আর্থিক নীতিতে ভুগছে বাংলার মানুষ, কেন্দ্রের সমালোচনায় চন্দ্রিমা

রাজ্য বাজেট পেশের সময় অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য একাধিকবার বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় "বঞ্চনা''র কথা তুলে ধরেন। বাংলার উন্নয়নের গতি রুদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনাকে কাঠগড়ায় তোলেন চন্দ্রিমা

বুধবার রাজ্য বিধানসভায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করতে করার সময় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য নিশানা করেন কেন্দ্রের মোদি সরকারকে। বাজেট পেশের সময় তিনি একাধিকবার বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় “বঞ্চনা”র কথা তুলে ধরেন। বাংলার উন্নয়নের গতি রুদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনাকে কাঠগড়ায় তোলেন চন্দ্রিমা। প্রাপ্য টাকা ঠিকমতো না দেওয়ায় ভুগতে হচ্ছে মানুষকে। কেন্দ্রের অদূরদর্শিতার জন্য বাংলার মানুষ আজ সমস্যায়। চন্দ্রিমার দাবি, ভুল আর্থিক নীতি, নোটবন্দি এবং অসম্পূর্ণ জিএসটি-এর খেশারদ দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে, লঙ্ঘিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো।

এদিন বাজেট পেশ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলার আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৮.৪১ শতাংশ, যা গোটা দেশের তুলনায় বেশি। ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পে ৭ কোটির বেশি মানুষ উপকৃত হয়েছেন। সেই তথ্য তুলে ধরে কেন্দ্রকে একহাত নেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ”কেন্দ্রীয় সরকারের ভুল আর্থিক নীতি, নোটবন্দি এবং অসম্পূর্ণ জিএসটি শুধু সাধারণ মানুষ ভুগছেন তাইই নয়, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো লঙ্ঘিত হচ্ছে।” রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর আরও সংযোজন, “জিএসটি ক্ষতিপূরণের সময়সীমা অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু কেন্দ্র সেটা কানে তোলেনি। চলতি বছর ২৪.৪৪ শতাংশ বেশি রাজস্ব জিএসটি খাতে আদায় হয়েছে। রিটার্ন বেড়েছে ৭০ থেকে ৯৫ শতাংশ।”

এদিন বাজেট পেশের পর সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রের সমালোচনা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “দেশের জনসংখ্যার ৬৪ শতাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করেন। কিন্তু কেন্দ্র কৃষি, ১০০ দিনের কাজ সবক্ষেত্রে নির্মমভাবে বাজেটে কাটছাঁট করেছে। লজ্জাজনকভাবে কাটছাঁট করা হয়েছে মিড-ডে মিলের বরাদ্দেও।”

আরও পড়ুন:মোদি সরকারের ভুল আর্থিক নীতিতে ভুগছে বাংলার মানুষ, কেন্দ্রের সমালোচনায় চন্দ্রিমা

 

 

Previous articleঅল্পের জন্য রক্ষা, দুর্ঘটনার কবলে বিধায়ক জুন মালিয়ার গাড়ি
Next articleরাজ্যপালের সচিব থেকে অব্যাহতি, পর্যটন দফতরের প্রধান সচিব পদে নন্দিনী