Sunday, August 24, 2025

পাঁচ বছর শ্রম দিয়েছি, কেন বেতন ফেরত  ? নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ ‘গ্রুপ ডি’ কর্মীদের

Date:

Share post:

“পাঁচ বছর চাকরি করেছি। বিদ্যালয়ে নিজের শ্রম দিয়েছি। কেন ফেরত দেব বেতন ?” এই প্রশ্ন তুলে ফের কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হল নতুন মামলা। ‘গ্রুপ ডি’ মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি বাতিল হওয়া কর্মীদের একাংশ। এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি বাতিল হওয়া গ্রুপ – ডি কর্মীদের একাংশ।

তাদের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করে বলেন, তাঁরা গত ৫ বছর ধরে চাকরি করছেন। চাকরি পাওয়ার পর যথাযথ শ্রমও দিয়েছেন। তা হলে এখন কেন বেতন ফেরত দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে? এর পর ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার এই নিয়ে বিস্তারিত শুনানি হবে।

সিবিআই এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৮২৩ টি ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৯১১ জন সুপারিশপত্র পেয়েছেন এবং তাঁরা বর্তমানে কর্মরত। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ইতিমধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেই নিয়োগের সুপারিশপত্রগুলি বাতিল করা হয়েছে। তার তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।

হাইকোর্টে কমিশনের তরফে হলফনামা দিয়ে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, ‘ওএমআর শিট পরীক্ষা করে সিবিআই এর সঙ্গে মিলে গিয়েছে ২৮১৮ টি ওএমআর শিট, যারা কারচুপি করেছিল বলে অভিযোগ। চার জনকে শনাক্ত করা যায়নি। নাইসার রেকর্ডে থাকা ২৮২৩ ওএমআর শিটের মধ্যে ১৯১১ জনের নম্বর এসএসসির সার্ভারে বেশি ছিল। এই ১৯১১ জনের সুপারিশ সঠিক ছিল না।’  এরপর বিচারপতির কলমের খোঁচায় ১০ মিনিটের মধ্যে চাকরি গিয়েছে তাঁদেরই।

 

 

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...