ত্রিপুরা: অসম-গুজরাতের পুলিশ দিয়ে ভোট করানোর ছকে বিজেপি!

বিএসএফ এবং সিআরপিএফ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর পরিবর্তে গুজরাত ও অসম পুলিশকে দিয়ে ত্রিপুরা নির্বাচন করাতে চাইছে বিজেপি। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের

রাজ্যে গেরুয়া সন্ত্রাসের বাতাবরণ। বিজেপির রক্ত চক্ষু। গত কয়েক বছরে ত্রিপুরায় ডাবল ইঞ্জিন বিজেপির শাসনে গণতন্ত্র ভু-লুণ্ঠিত। বিজেপির গুণ্ডাদের তাণ্ডবে জঙ্গল রাজ্যের রূপ নিয়েছে ত্রিপুরা। স্থানীয় পৌরনিগম ও নগর পঞ্চায়েতে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে বিরোধী নেতা-কর্মীরা। রাজনৈতিক ভাবে পেরে না উঠে দেওয়া হয়েছে মিথ্যা মামলা। রাজ্য পুলিশও বিজেপির হাতে আক্রান্ত। মহিলা থানায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ। তৃণমূল-সহ বিরোধীদের লাগাতার অভিযোগের পর বিধানসভা ভোটে আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে কিছুটা হলেও কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়েছে ত্রিপুরা পুলিশও। আর তাতেই বিশেষ কলকাঠি নাড়াতে পারছে না গেরুয়া শিবিরি ক্যাডাররা।

ঠিক সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিএসএফ এবং সিআরপিএফ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর পরিবর্তে গুজরাত ও অসম পুলিশকে দিয়ে ত্রিপুরা নির্বাচন করাতে চাইছে বিজেপি। এমনই অভিযোগ করছে সিপিএমের কৃষক সংগঠন সারা ভারত কিষান সভা। অবিলম্বে এহেন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে তারা। প্রতিটি বামপন্থী কৃষক সংগঠনকে বলা হয়েছে দেশের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কৃষি ব্যবস্থা কতটা দুর্বিষহ, তার বিস্তারিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করতে হবে। প্রয়োজনে সবিস্তার তথ্য ছড়িয়ে দিতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এই পরিপ্রেক্ষিতেই ইতিমধ্যেই সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জাতীয় নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়ে অভিযোগ করেছেন যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সরাসরি ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন। তাঁর অভিযোগ, এটি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের শামিল। অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন ইয়েচুরি।

 

 

Previous articleকানাডার রাম মন্দিরে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, লেখা হলো ভারত বিরোধী স্লোগান
Next articleনির্ধারিত সময়ের আগেই দিল্লিতে ইডির দফতরে কলকাতার ধাবার মালিক মনজিৎ!