নজরে আদিবাসী ভোট, নির্বাচনী সকালে মোদির মাথায় ত্রিপুরার ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি

নির্বাচন কমিশনের(Election Commission) নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে বন্ধ রাখতে হয় সবরকম প্রচার। তবে ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’র মত সোশ্যাল মিডিয়ার জামানায় প্রচারের অন্য পথ বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। ত্রিপুরায়(Tripura) যখন চলছে ভোট গ্রহণ পর্ব ঠিক সেই সময় দিল্লিতে দাঁড়িয়ে ত্রিপুরার আদিবাসী মন পেতে ভিন্ন পথে প্রচার সারলেন মোদি। আদিবাসী সংস্কৃতি তুলে ধরতে জাতীয় আদিবাসী উৎসব আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার আদিবাসী জনজাতিদের ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি মাথায় দিল্লিতে দেখা গেল মোদিকে। এই অনুষ্ঠান থেকে আদিবাসী জনজাতিদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদি।

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে আদিবাসী উৎসবে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আদিবাসী সমাজের উন্নতি আমার নিজের ভাবনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। যখন প্রধানমন্ত্রী হইনি, তখন ভারতের কোণে কোণে আদিবাসীদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। আদিবাসীদের থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আপনাদের কাছে এলে মনে হয় নিজের মানুষদের সঙ্গে আছি। জঙ্গল-নদী-পাহাড়ের সঙ্গে একাত্মতা গড়ে তোলার প্রেরণা দেন আদিবাসীরা।”

নাম না করে ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে মোদি বলেন,”আজ, ভারতের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের চাহিদা, বিশেষ করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের তৈরি পণ্যগুলির চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পণ্য এমনকি বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। বাঁশের পণ্যের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পূর্ববর্তী সরকারের আমলে বাঁশ কাটা এবং এর ব্যবহার আইনত নিষিদ্ধ ছিল। আমরা বাঁশকে ঘাসের ক্যাটাগরিতে নিয়ে এসেছি এবং এর উপর সমস্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়েছি। এতে করে বাঁশের পণ্য বড় শিল্পের অংশ হয়ে উঠছে।” উত্তর-পূর্বাঞ্চল অর্থে মোদি যে ত্রিপুরার কথাই বলেছেন তা আদালা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না।

মোদি আর কী কী বললেন এদিন?

‘বিজেপির আমলে ৮০ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী কাজ করছে’
‘এই সব গোষ্ঠীতে দেড় লক্ষের বেশি আদিবাসী কাজ করছেন’
‘চলতি বাজেটে ঘোষিত পিএম বিশ্বকর্মা যোজনায় আদিবাসী হস্তশিল্পীরা উপকৃত হবেন’
‘বিজেপির আমলে আদিবাসী যুবক-যুবতীদের উন্নতি হচ্ছে’
‘আদিবাসী শিশুদের ভবিষ্যতের উন্নতি বিজেপি সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য’
‘নতুন শিক্ষানীতির দৌলতে নিজের ভাষায় পড়তে পারছেন আদিবাসীরা’
‘এই এলাকা মাওবাদী উপদ্রুত ছিল, এখন সব কা বিকাশ নীতির ফলে তাঁরা মূলস্রোতে ফিরে আসছেন’
‘আদিবাসী এলাকায় বিজ্ঞান চর্চা হচ্ছে, তাঁরা যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতমানের ফোর জি-র সুবিধা পাচ্ছেন’
‘এই প্রথম কোনও আদিবাসী মহিলা ভারতের রাষ্ট্রপতি’
‘বিজেপির আমলে প্রথম আদিবাসী ইতিহাসকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে’
‘অমৃত মহোৎসব দেশের ভুলিয়ে দেওয়া ইতিহাসকে মনে করাচ্ছে’
‘আদি মহোৎসবকে কেন্দ্রীয় সরকার জন আন্দোলনে রূপান্তরিত করবে’

Previous articleত্রিপুরায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ব্যাপক বোমাবাজি, পাল্টা হুঁশিয়ারি তিপ্রা সুপ্রিমোর
Next article‘দিদি’ ডাকে থমকাল কনভয়, অভিযোগ শুনলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী