ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি-কাশি! শহরজুড়ে দাপিয়ে বেরাচ্ছে অ্যা*ডেনোভাইরাস

কখনও ঠান্ডা, কখনও গরম! ঋতু পরিবর্তনের এই সন্ধিক্ষণে ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি-কাশি-শ্বাসকষ্ট। প্রতিবছরই ঋতু পরিবর্তনের সময় ভাইরাল জ্বর হয়ে থাকে। তবে এবার শহর থেকে গ্রামের চিত্রটা একেবারেই আলাদা।একবার জ্বর হলে তা থাকছে ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত।সেইসঙ্গে হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট তো রয়েইছে। যার দাপটে কাবু বিশেষত শিশু ও বয়স্করা। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলছেন, শহরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অ্যাডেনোভাইরাস।

অ্যাডেনোভাইরাসের উপসর্গগুলি কী?

বছরের শুরু থেকেই এই ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত বেড়েছে। বায়ুবাহিত এই অ্যাডেনোভাইরাস সাধারণত চোখ, অন্ত্র, মূত্রনালী ও স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে। শুধু তাই নয়, এই ধরনের ভাইরাস আক্রমণ করলে জ্বরের মাত্রা বাড়তে থাকে। নাক দিয়ে কাঁচা জল পড়ার সমস্যাও হানা দিতে পারে। জ্বরের সঙ্গে কনজাংটিভাইটিস থাকতে পারে। ব্রঙ্কাইটিস ও নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে। অনেকেরই ডায়রিয়া, বমি ও শ্বাসকষ্টের প্রাবল্য বাড়ে। সারা দিন ঘুষঘুষে জ্বর থাকতেও দেখা যায়।

অ্যাডেনোভাইরাসের কারণ কী?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে একাধিক ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। অন্তত ১২ ধরনের জীবাণু দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সংক্রমণ ঠেকাতে উচ্চ মাত্রার কিছু অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। কিন্তু তা দিয়েও আয়ত্তে সব সময়আনা যায় না সংক্রমণ। এক সময় কেবল শ্বাসকষ্ট বা পেটের সমস্যা ঘটত জ্বরের সঙ্গে, সামাল দেওয়া যেত। এখন আরও বাড়াবাড়ি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার, ভুলভাল প্রয়োগ সে সবও ভাইরাসের চরিত্রবদলের জন্য অনেকাংশেই দায়ী।তবে এই ভাইরাসের কোনও উপসর্গ শিশুদের মধ্যে দেখা দিলে অবিলম্বে ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

 

 

Previous articleমিথ: উপনির্বাচনে শুভেন্দু প্রচারে গেলেই রেকর্ড মার্জিনে হারে বিজেপি! এবার সাগরদিঘি?
Next articleজয় শাহর চাপেই নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা চেতন শর্মার!