হাতুড়ের আজব কাণ্ড! র*ক্ত পড়া বন্ধ করতে কানে এম-সিল

বৃহস্পতিবার অস্ত্রোপচারের পর বিপদমুক্ত হন শ্যামল। প্রায় ১ ঘন্টারও বেশি অস্ত্রোপচারের পর হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁর কানের ছিদ্র থেকে এমসিল আঠা বের করেন। তবে শ্যামলের কানের পর্দা নষ্ট হয়ে গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

কান (Ear) দিয়ে গলগল করে বেরোচ্ছে রক্ত (Blood)। অনেক চেষ্টা করলেও কিছুই উপায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আর তারপরই কানে রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে এম সিল (M Seal) আঠা লাগানোর অভিযোগ উঠল এক হাতুড়ে ডাক্তারের বিরুদ্ধে। শুনতে অবাক লাগলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে কাটোয়া (Katwa) থানার অন্তর্গত কোয়ারা গ্রামে। জানা গিয়েছে, কানে আঠা লাগিয়ে রক্তক্ষরণ বন্ধ হলেও শ্যামল প্রামানিক (Shayamal Pramanik) নামে ওই যুবক কিছুক্ষণ পরেই চরম বিপদে পড়েন। এরপরই সংকটজনক অবস্থায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। শ্যামলের কানের অবস্থা দেখে হতভম্ব হয়ে যায় চিকিৎসকরা। এরপরই চিকিৎসকরা দ্রুত অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। পরিবার সূত্রে খবর, শ্যামল প্রামানিক কাটোয়া থানার অন্তর্গত কোয়ারা গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় গাড়ি চালক তিনি।

বৃহস্পতিবার অস্ত্রোপচারের (Operation) পর বিপদমুক্ত হন শ্যামল। প্রায় ১ ঘন্টারও বেশি অস্ত্রোপচারের পর হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁর কানের ছিদ্র থেকে এমসিল আঠা বের করেন। তবে শ্যামলের কানের পর্দা নষ্ট হয়ে গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে খবর। এই বিষয়ে শ্যামলের স্ত্রী সঞ্চিতা প্রামাণিক (Sanchita Pramanik) জানিয়েছেন, আমার স্বামী পেশায় গাড়ি চালক। বুধবার দুপুরে তিনি কাটোয়ার সিঙ্গি মোড়ের বাসস্ট্যাণ্ডের কাছে কান পরিষ্কার করা এক হাতুড়ের কাছে নিজের কান পরিষ্কার করাতে গিয়েছিলেন। কান পরিষ্কার করার সময় অত্যাধিক খোঁচাখুঁচি করায় কান থেকে রক্ত বের হতে শুরু করে। হাতুড়ে ওই যুবক শ্যামলের কানের রক্ত বন্ধ করতে ‘এমসিল’ আঠা দিয়ে কানের ছিদ্র বন্ধ করে দেয়। তিনি আরও জানান, ওই হাতুড়ে ডাক্তার শ্যামলকে জানায় এই ওষুধে কান থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হবে এবং কিছুক্ষণ পর এটা নিজে থেকে খুলে যাবে। কিন্তু নিজের বাড়িতে ফিরেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কানের অসহ্য যন্ত্রণা হওয়ায় জ্ঞান হারানোর পরিস্থিতি তৈরি হয় তাঁর। এরপরই গ্রামবাসী ও আত্মীয়রা শ্যামলকে উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন। এরপরই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়।

কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন, এরকম রোগী আগে কোনওদিন দেখিনি। রক্ত বন্ধ করতে কানেও যে এমসিল ব্যবহার করা যায় সেটা এই প্রথম দেখলাম। তবে শ্যামলের বড়সড় কোনও ক্ষতি হতে পারত। তবে এই যাত্রায় তিনি বেঁচে গেলেন। তবে ওই হাতুড়ে ডাক্তারের সঠিক পরিচয় এখনও জানা যায়নি বলেই দাবি শ্যামলের পরিবারের। তাঁকে খোঁজার কাজ শুরু করেছে পুলিশ।

 

 

Previous articleআপাতত চেতনের ছেড়ে দেওয়া দায়িত্ব সামলাবেন শিবসুন্দর দাস
Next articleতমলুক সাংগঠনিক জেলার নবনিযুক্ত পদাধিকারীদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক কুণালের