কেন রেসিডেন্সিয়াল ভিসার আবেদন? ইডির ‘প্রশ্নবাণে’ জর্জরিত মানিক-পুত্র

তবে বিচারক এদিন ইডির আইনজীবিকে প্রশ্ন করেন, আপনি কী বলতে চাইছেন ওঁর ওখানে বাড়ি আছে? এর উত্তরে ইডির আইনজীবী বলেন, নিশ্চয়, নাহলে কেন গোপন করবেন? এরপরই ইডির তরফে দাবি করা হয়, এই দুর্নীতির টাকা বিদেশেও গিয়েছে।

একদিকে বিদেশযাত্রায় (Foreign Tour) বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ এবং অন্যদিকে তথ্য গোপনের অভিযোগ। বুধবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) আধিকারিকদের একাধিক প্রশ্নের মুখে জর্জরিত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Teacher Recruitment Scam) ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) স্ত্রী শতরূপা (Shatarupa Bhattacharya) ও ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্য (Souvik Bhattacharya)। বুধবার আগাম জামিনের আর্জি নিয়ে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে বিশেষ ইডি আদালতের (Special ED court) দ্বারস্থ হন মানিকের স্ত্রী ও ছেলে। এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেন, শুধুমাত্র বিদেশযাত্রায় খরচ হয়েছে ৫ কোটি টাকা। এছাড়াও সৌভিক সপরিবারে কমপক্ষে ২০ বার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। তবে লন্ডনে বাড়ি না থাকলে, কেন রেসিডেন্সিয়াল ভিসার (Residential Visa) আবেদন করেছিলেন সৌভিক? তা নিয়ে প্রশ্ন এদিন প্রশ্ন তুললো ইডি (Enforcement Directorate)।

বুধবার আদালতে ইডির আইনজীবীর অভিযোগ, ২০১৭ সালে মানিক পুত্র দু’বার লন্ডনে গিয়েছেন। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধকারিকরা কিছু গোপন নথি বিচারকের সামনে তুলে ধরেন। সেই নথি দেখা মাত্রই বিচারকের প্রশ্ন, তা হলে কী ওখানে কোনও বাড়ি আছে? এরপর ইডির আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, রেসিডেন্স না থাকলে রেসিডেন্স ভিসার আবেদন করা হল কেন? এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে কাজের জন্যই বিদেশে গিয়েছিলেন মানিক পুত্র সৌভিক।

পাশাপাশি এদিন জামিনের বিরোধিতা করে ইডির আইনজীবী বলেন, তদন্তে সৌভিক ও মানিকের স্ত্রীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মানিকবাবুর স্ত্রীর জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে একজনের নাম রয়েছে, যিনি বহু আগে মারা গিয়েছেন। সেই অ্যাকাউন্ট এখনও চলছে। পুরো ঘটনায় স্ত্রী শতরূপা সক্রিয়ভাবে যুক্ত। সবটাই জানতেন তাঁর স্ত্রী। তবে বিচারক এদিন ইডির আইনজীবিকে প্রশ্ন করেন, আপনি কী বলতে চাইছেন ওঁর ওখানে বাড়ি আছে? এর উত্তরে ইডির আইনজীবী বলেন, নিশ্চয়, নাহলে কেন গোপন করবেন? এরপরই ইডির তরফে দাবি করা হয়, এই দুর্নীতির টাকা বিদেশেও গিয়েছে। মালদ্বীপ থেকে ভিয়েতনাম পর্যন্ত টাকা গিয়েছে বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় সংস্থার স্পষ্ট বক্তব্য, এটি বড়সড় দুর্নীতি। ঘটনায় মানিকের স্ত্রী ও পুত্র সক্রিয়ভাবে যুক্ত। পাশাপাশি এদিন শুনানি চলাকালীন মানিকের স্ত্রী ও তাঁর ছেলেকে ধমক দেন বিচারক।

 

 

 

Previous articleঅবশেষে সম্পন্ন দিল্লির মেয়র নির্বাচন, বিজেপিকে হারিয়ে জয়ী আপ
Next articleমর্মা*ন্তিক! বৌভাতের দিনই চরম পরিণতি নবদম্পতির