২২ গজে জোরে বোলারদের বাউন্সার নয়, এবার কঠিন চ্যালে*ঞ্জের সামনে ভারতীয় দলের ওপেনার পৃথ্বী শ। ভারতীয় দলের এই ওপেনারের বিরুদ্ধে শ্লী*লতাহানির অভিযোগ নিয়ে এসেছেন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এবং ভোজপুরী অভিনেত্রী স্বপ্না গিল। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে মুম্বই জুড়ে।

ঘটনার সূত্রপাত গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজের হোটেল সাহারা স্টার ক্যাফেতে বন্ধুদের সঙ্গে খেতে গিয়েছিলেন ভারতী ওপেনার। সেখানেই
সেলফি তোলা নিয়ে স্বপ্না গিল ও তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন পৃথ্বী শ এবং তাঁর বন্ধুরা।

অভিযোগ হোটেল থেকে বেরিয়ে তারা দেখেন,স্বপ্না গিল ও তাঁর সঙ্গীরা বেসবলের ব্যাট নিয়ে অপেক্ষা করছে। পৃথ্বীর এক বন্ধুর গাড়িতে চড়াও হয় তারা। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি । সেই গাড়িতে ছিলেন ভারতীয় ওপেনার। এরপর তাদের বিরুদ্ধে ওশিওয়ারা থানায় হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ জানিয়েছিলেন পৃথ্বীর বন্ধু সুরেন্দ্র যাদব গিল। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে ভোজপুরী অভিনেত্রী স্বপ্না গিল ও তাঁর তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করে ওশিওয়ারা থানার পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৮, ১৪৯, ৩৮৪, ৪৩৭, ৫০৪ এবং ৫০৬ ধারার অভিযোগ আনা হয়।
সোমবার এই মামলার শুনানিতে স্বপ্না গিলদের জামিনে মুক্তি দেয় অন্ধেরির আদালত। আর এই জামিন পাওয়ার পরপরই পৃথ্বী শ–র বিরুদ্ধে মুম্বই এয়ারপোর্ট থানায় শ্লী*লতাহানিসহ একাধিক অভিযোগ দায়ের করেন স্বপ্না গিল। পৃথ্বীর বিরুদ্ধে স্বপ্না যে যে ধারায় অভিযোগগুলি দায়ের করেছেন সেগুলি হল ৩৪, ১২০ বি, ১৪৬, ১৪৮, ১৪৯, ৩২৩, ৩২৪, ৩৫১, ৩৫৪ এবং ৫০৯।
স্বপ্নার অভিযোগ, তিনি ১৫ ফেব্রুয়ারি বন্ধুদের সঙ্গে ওই পাঁচতারা হোটেলে ডিনার করতে গিয়েছিলেন। সেখানে পৃথ্বী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। স্বপ্নার বন্ধু পৃথ্বীকে চিনতে পেরে তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য অনুরোধ করেন। সে সময় পৃথ্বী শ মোবাইল কেড়ে নিয়ে মাটিতে আঁছড়ে ফেলে দেন। স্বপ্নার দাবি, তিনি বন্ধুকে বাঁচাতে পৃথ্বীর দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে অনুরোধ করেন শোভিতকে না মারার জন্য।

স্বপ্না অভিযোগ করেছেন, তিনি যখন পৃথ্বীর কাছে এগিয়ে যান, সেই সময় তিনি আপত্তিজনকভাবে স্বপ্নাকে স্পর্শ করেন, তার গো*পনাঙ্গে হাত দেন। স্বপ্না বিষয়টি পুলিশে অভিযোগ জানানোর কথা বললে পৃথ্বী নাকি সেই সময় ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং তাঁকে অনুরোধ করেন বিষয়টি পুলিশকে না জানাতে। স্বপ্নার দাবি, সেই সময় পৃথ্বীর অনুরোধ মেনেই তিনি নাকি পুলিশে অভিযোগ জানাননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেলফি তোলা নিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন পৃথ্বী ও স্বপ্না। তারপর থেকেই একে অপরের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আনছেন তাঁরা।

শ্লী*লতাহানির মামলা দায়ের করে স্বপ্না বলেন, ‘আমি সেলফি তুলতে যাইনি। নিজেরাই মজা করছিলাম, এক বন্ধু আমাদের ভিডিও করছিল। সেই সময়েই আমার বন্ধুর সঙ্গে হাতাহাতি শুরু করেন পৃথ্বী ও তাঁর বন্ধুরা। সবাই তখন মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে অভিযোগ করেন স্বপ্না। এবার জামিন পাওয়ার পর নতুন করে শ্লী*লতাহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
