রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে এই বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Examination)। আর পরীক্ষা শুরু হতে না হতেই ‘অপপ্রচার’ করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে দাবি করছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (Board of Secondary Education) সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়(Ramanuj Ganguly)। কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) বৃহস্পতিবার তাঁকে তলব করেই নি, বৃহস্পতিবার বিকেলের সাংবাদিক পরিষদ করে এমনটাই সবার সামনে স্পষ্ট করলেন রামানুজ।

২৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আজ থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। খুব স্বাভাবিকভাবেই সকাল থেকে দম ফেলার ফুরসত পাননি পর্ষদ সভাপতি। তার মাঝে হঠাৎ করে রটে যায় যে তাঁকে নাকি হাইকোর্ট তলব করেছে এমন কথা। বিগত কয়েকদিনের অভিজ্ঞতায়, আদালতের ‘তলব’ শব্দটির সঙ্গে একাধিক দুর্নী*তির সংযোগ খুঁজছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এই খবর রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের কানে গিয়েও পৌঁছয়। কিন্তু পরীক্ষা চলাকালীন তিনি কোনও রকম মন্তব্য করতে পারেননি। পরে নির্বিঘ্নে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর, বেলা শেষে বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। রামানুজ বলেন, ‘‘আমার আজ যাওয়ার কোনও প্রশ্ন ছিল না। কোনও অবকাশও ছিল না। এ ধরনের খবরে, এ ধরনের বিভ্রান্তিতে আমার অসুবিধা হয়েছে ব্যক্তিগত ভাবে। অন্য দিন হয়তো বিষয়টি নিয়ে সমস্যায় পড়তাম না। যে হেতু মাধ্যমিক চলছে, আজ প্রথম দিন ছিল, আমার কাছে বিষয়টি সমস্যার মনে হয়েছে। এ রকম খবরে অনেকে উদ্বিগ্ন হন, কাজে বিঘ্ন ঘটে।’’

অন্যদিকে হাই কোর্ট সূত্রে খবর, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অমৃতা সিংহ একটি মামলায় শর্তসাপেক্ষে রামানুজকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু পর্ষদ সভাপতি গোটা বিষয়টি স্পষ্ট করে সকলের সামনে তুলে ধরে জানান এটা নিছক কুৎসা রটানো ছাড়া আর কিছুই নয়। আদালত সূত্রে জানা যায়, ১২ বছরের একটি পুরনো মামলায় শর্তসাপেক্ষে রামানুজকে বৃহস্পতিবার তলব করেছিল আদালত। অঞ্জনকুমার খাটুয়া নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, গত ১২ বছর ধরে তাঁকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। গত মাসে হাই কোর্ট তাঁকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এর পর স্কুল সার্ভিস কমিশন অঞ্জনের চাকরির সুপারিশপত্র পাঠায় পর্ষদকে।মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কৌঁসুলি বৃহস্পতিবার আদালতকে জানান, রামানুজ ব্যস্ত রয়েছেন। এরপরেই এজলাস কক্ষে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় অঞ্জনকে।