রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মাঝেই বাজেট অধিবেশনের অনুমতি পুরোহিতের

৩ মার্চ থেকেই শুরু হবে পাঞ্জাব বিধানসভার(Punjab Assembly) বাজেট অধিবেশন(Budget Session)। পাঞ্জাব সরকারের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এই তথ্য দিয়েছেন। সলিসিটর জেনারেল সুপ্রিম কোর্টকে(Supreme Court) জানিয়েছেন রাজ্যপাল(Govornor) ৩ মার্চ সকাল ১০ টায় বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু করার অনুমতি দিয়েছেন।

বিগত কয়েকদিন ধরে পাঞ্জাবে সরকার ও রাজ্যপাল সঙ্কট চরম আকার নিয়েছে। পাঞ্জাবের আপ সরকারের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সরকারের কাজে অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করছেন রাজ্যপাল বনওয়ারি লাল পুরোহিত। সংবিধান মানছেন না তিনি। এমনকি ৩ মার্চ বাজেট অধিবেশন শুরুর অনুমতি চাওয়া হলে সে অনুমতি দেননি রাজ্যপাল। এই ইস্যুতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পাঞ্জাব সরকার। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, রাজ্যপাল যে তথ্য চেয়েছেন তা দিতে পাঞ্জাব সরকার বাধ্য। পাঞ্জাব সরকার এবং রাজ্যপালের মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, সাংবিধানিক প্রধান ও প্রশাসনিক প্রধানকে একটি নির্দিষ্ট স্তরে যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে। এছাড়াও, বিধানসভা অধিবেশন ডাকার বিষয়ে মন্ত্রিসভার সুপারিশগুলি গ্রহণ করা রাজ্যপালের কর্তব্য।

প্রসঙ্গত, পাঞ্জাব সরকারের মন্ত্রিসভা ৩ মার্চ থেকে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন ডাকার জন্য রাজ্যপালের অনুমতি চেয়ে একটি প্রস্তাব পাস করে। রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিত এখনই এই বাজেট অধিবেশন ডাকতে রাজি হননি। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে একটি চিঠিও লেখেন তিনি। যেখানে তিনি লেখেন, মুখ্যমন্ত্রীর টুইট এবং বিবৃতি অত্যন্ত অবমাননাকর এবং অসাংবিধানিক। এই টুইটের বিষয়ে তিনি আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন। তারপর বাজেট অধিবেশন ডাকার কথা বিবেচনা করব। এই ইস্যুতেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় পাঞ্জাব সরকার। পিটিশনে বলা হয়, সরকার প্রদত্ত সহায়তা এবং পরামর্শ অনুসারে রাজ্যপালকে বিধানসভা আহ্বান করতে হবে। তবে রাজ্যপাল তা করছেন না। তিনি সংবিধান বিরোধী কাজ করছেন। এবং সরকারের সব কাজে বাধা সৃষ্টি করছেন। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে পাঞ্জাব সরকারের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, রাজ্যপাল ৩ মার্চ সকাল ১০ টায় বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু করার অনুমতি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, পাঞ্জাবে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাতের সূত্রপাত গত ১৩ ফেব্রুয়ারি, সিঙ্গাপুরে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো অধ্যক্ষদের নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং ব্যয় সহ আরও চারটি বিষয়ে তথ্য চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যপাল। এর প্রতিক্রিয়ায়, মুখ্যমন্ত্রী ১৩ ফেব্রুয়ারি নিজেই টুইট করে রাজ্যপালের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, রাজ্যপাল যে বিষয়গুলি উত্থাপিত করেছেন তা সম্পূর্ণ রাজ্যের নিজস্ব বিষয়। মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, তাঁর সরকার ৩ কোটি পাঞ্জাবিদের কাছে দায়বদ্ধ, কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা নিযুক্ত কোনও রাজ্যপালের কাছে নয়।

Previous articleঅ্যা*ডিনো ভাই*রাস স*তর্কতায় অ্যাডভাইসরি জারি স্বাস্থ্য দফতরের, কী আছে নির্দেশিকায়
Next articleসুপ্রিম কোর্টেও জামিন অধরা, কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা মনীশ সিসোদিয়ার